রয়টার্স: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই সপ্তাহে ফোনে কথা বলবেন। জুনের পর এটিই হবে তাদের প্রথম আলোচনা। আলোচনায় টিকটক, বোয়িং বিমান কেনা, বিরল খনিজ ও তাইওয়ান ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ খবর জানিয়েছে।

এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) সম্মেলনকে সামনে রেখে এই ফোনালাপ হতে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় অক্টোবরের শেষে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের ফাঁকে শীর্ষ পর্যায়ের সাক্ষাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, শুক্রবার শি-এর সঙ্গে তার ফোনালাপ হবে এবং সম্পর্ক এখনও খুবই শক্তিশালী। তবে বেইজিং এখনও প্রকাশ্যে এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।

টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সের বিরুদ্ধে বিক্রি না করলে নিষিদ্ধ হওয়ার সময়সীমা ঘনিয়ে আসছে। এ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার সোমবার মাদ্রিদে চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অন্যদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে চীনা মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রাখার চেষ্টা করছেন। তবে তিনি চীনের ওপর চাপও বাড়াচ্ছেন। বিরল খনিজ ম্যাগনেটের প্রবাহ নিশ্চিত করা, ফেন্টানিল পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, শুল্ক কমানো ও মার্কিন কৃষিপণ্যের অর্ডার বাড়ানোÍএসব বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার এজেন্ডায় রয়েছে। চীন পাল্টা সেমিকন্ডাক্টর খাতে তদন্ত বাড়িয়েছে এবং শুল্ক প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে। সহজ সমাধানের মধ্যে থাকতে পারে চীনের পক্ষ থেকে শত শত বোয়িং বিমান কেনার ঘোষণা বা মার্কিন কৃষিপণ্যে অর্ডার বাড়ানো। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে। তবে তাইওয়ান ইস্যু দু’দেশের সম্পর্কের সবচেয়ে জটিল বিষয়। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখ- দাবি করে আসছে এবং মার্কিন অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করছে। এ নিয়ে দুই দেশের উত্তেজনা বিদ্যমান। দক্ষিণ চীন সাগরে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের নিরাপত্তা প্রত্যাশাও আলোচনায় আসতে পারে।