রয়টার্স : যুক্তরাষ্ট্র সরকারে রেকর্ড ৪০ দিন ধরে চলা শাটডাউন বা অচলাবস্থার অবসান হতে যাচ্ছে। কারণ গত রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল আবার চালু করা নিয়ে মার্কিন সিনেটে একটি বিল পাস হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। সরকারি ব্যয়ের বাজেট পাস নিয়ে দীর্ঘ এ অচলাবস্থার কারণে বহু সরকারি কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে দেশটিতে উড়োজাহাজ চলাচল দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সিএনএন, ফক্স নিউজসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি, খাদ্যসহায়তা এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি কর্মী বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়ে টানাপোড়েনের পর আইনপ্রণেতারা আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের তহবিল চালু রাখতে একটি অস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছেছেন।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয়-বরাদ্দসংক্রান্ত বিলটি সিনেটে ৬০-৪০ ভোটে পাস হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ভোট চলে। সরকারের অচলাবস্থা কাটাতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

তবে সিনেটে বিল পাস হলেও সরকারের অচলাবস্থা পুরোপুরি কাটতে এখনো কিছু কাজ বাকি আছে।

মার্কিন আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্যসংখ্যা ১০০। সিনেটে এই বিল পাসের জন্য অন্তত ৬০ ভোটের প্রয়োজন পড়ে। এর আগে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পর্যাপ্ত ভোট না পড়ায় বিলটি পাস হয়নি।

সিনেটে পাস হওয়া এই বিল এখন মার্কিন আইনসভার নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে যাবে। বর্তমান মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখানে বিলটি পাস হলে প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য তা ট্রাম্পের কাছে পাঠানো হবে। ট্রাম্প সই করতে বিলটি চূড়ান্ত হবে। গত ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে অচলাবস্থা চলছে। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে সপ্তাহান্তের ছুটি কাটিয়ে হোয়াইট হাউজে ফিরেছেন ট্রাম্প।

ইকুয়েডরের কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ৩১

রয়টার্স : ইকুয়েডরের এক কারাগারে গত রবিবার সহিংস দাঙ্গায় অন্তত ৩১ জন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উপকূলীয় শহর মাচালার ওই কারাগারে একইদিনে ভিন্ন দুই ঘটনায় ওই প্রাণহানি ঘটে। কারা কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা এ খবর জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২৭ জন বন্দি শ্বাসরোধে এবং ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছে। অবশ্য, তাদের মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য বিবৃতিতে দেওয়া হয়নি। ওই কারাগারে একইদিন ভিন্ন এক ঘটনায় চার বন্দির মৃত্যু হয়। জানা যায়, সর্বোচ্চ প্রহরা সম্বলিত অবকাঠামোতে বন্দিদের স্থানান্তর করার উদ্যোগ থেকে মারামারি বেঁধে যায়। ট্যাকটিক্যাল পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই দাঙ্গা দমন করা হয়। বিগত কয়েক বছরে ইকুয়েডরের কারাগারগুলোতে ভয়াবহ দাঙ্গা দেখা দিয়েছে। এসব ঘটনায় শত শত বন্দি প্রাণ হারিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়ার প্রশাসন এই সহিংসতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংগুলোর আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণের লড়াইকে দায়ী করছে।

গত সেপ্টেম্বরে ওই একই কারাগারে ভিন্ন গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে ১৪ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়। কয়েকদিন পর, কলম্বিয়া সীমান্তের কাছাকাছি উত্তরাঞ্চলীয় শহর এসমেরালদাসের এক কারাগারে মারামারিতে আরও ১৭ জন প্রাণ হারায়।