১৫ মার্চ, রয়টার্স : যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে সন্ত্রাসবাদ আইন লঙ্ঘনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল শুক্রবার এ কথা বলেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা এ খবর জানিয়েছে। গত বছর দেশটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনের ওপর নতুনভাবে চাপ প্রয়োগ করছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তবে এই প্রতিক্রিয়ার অনেক দিন ধরেই দেখানো প্রয়োজন ছিল দাবি করেছে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল টড ব্ল্যাঞ্চ। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইহুদি বিদ্বেষ নিশ্চিহ্ন করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী দ্বারা সুরক্ষিত। এই সংশোধনীর আওতায় বাকস্বাধীনতা অন্তর্ভুক্ত।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেল যে, ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের ওপর কঠোর অবস্থানে সামান্য নড়চড়েও আগ্রহী নয় ট্রাম্প প্রশাসন। বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচার বিভাগ। পরদিন নিউ ইয়র্ক ক্যাম্পাসে দুটি ছাত্রাবাসে ফেডারেল এজেন্টরা তল্লাশি চালায়। এর আগে গত সপ্তাহে, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের প্রধান নেতা মাহমুদ খলিলকে আটক করে অভিবাসন কর্মীরা দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছে, যা আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন শিক্ষা বিভাগ সতর্ক করে বলেছে, ইহুদীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে ৬০টি স্কুলের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে। এরপর শুক্রবার তারা জানিয়েছে, ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণের ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি ১৯৬৪ সালের নাগরিক অধিকার আইনের লঙ্ঘন বলে দাবি করা হয়েছে।