এনডিটিভি : আর কয়েক ঘণ্টা পরই ঘোষিত হবে চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, নোবেল শান্তি পুরস্কার তার প্রাপ্য। তিনি দাবি করেছেন, তিনি সাতটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন, যার মধ্যে একটি ভারত ও পাকিস্তানের। তবে নয়াদিল্লি দৃঢ়ভাবে এই দাবি অস্বীকার করেছে। ট্রাম্প এও বলেছেন, নোবেল কমিটি ‘কোনো না কোনো কারণ খুঁজে বের করবে’ তাকে পুরস্কার না দেওয়ার জন্য। দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ট্রাম্প একাধিকবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এ বছর তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন আইনপ্রণেতা এবং পাকিস্তান সরকার। এখন পর্যন্ত মাত্র চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন
থিওডর রুজভেল্ট (১৯০৬): প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান রুজভেল্ট। রুশ-জাপান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তিনি পোর্টসমাউথ চুক্তির মধ্যস্থতা করেন। তার মেডেলটি এখনো হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ের ‘রুজভেল্ট রুমে’ ঝুলছে।
উড্রো উইলসন (১৯১৯): যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম প্রেসিডেন্ট উইলসন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসান ও ‘লীগ অব নেশনস’ গঠনে ভূমিকার জন্য পুরস্কৃত হন। এটি ছিল বিশ্বের প্রথম আন্তঃসরকারি সংগঠন, যার লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক শান্তি রক্ষা।
জিমি কার্টার (২০০২): ৩৯তম প্রেসিডেন্ট কার্টার পদত্যাগের ২১ বছর পর শান্তিতে নোবেল পান।আন্তর্জাতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন প্রচারে তার ‘দীর্ঘদিনের নিরলস প্রচেষ্টা’র স্বীকৃতি হিসেবে তাকে সম্মানিত করা হয়।
বারাক ওবামা (২০০৯) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ওবামা শান্তিতে নোবেল পান। আন্তর্জাতিক কূটনীতি, পারস্পরিক সহযোগিতা, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তার ‘অসাধারণ প্রচেষ্টা’র জন্য তাকে সম্মানিত করা হয়।
অ্যাল গোর (২০০৭): যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাল গোর ২০০৭ সালে ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)-এর সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পান। তারা যৌথভাবে ‘মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি ও তা প্রচারের প্রচেষ্টার জন্য’ পুরস্কৃত হন।