১৫ মার্চ, রয়টার্স : যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ ও মার্কিন শ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্তও শুরু করেছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালগুলোকে বর্ণবাদ ও বৈষম্যমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই এবং এই তদন্ত সেই কার্যক্রমেরই অংশ।” মার্কিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাগরিক অধিকার বিভাগ পরিচালনা করছে এ তদন্ত। বিভাগের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তদন্ত শুরু করেছেন তারা।

এই ৪৫টি বিশ্ববিদ্যায় সম্প্রতি বিদেশী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচি নিয়েই উঠেছে আপত্তি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যেসব লিখিত অভিযোগ এসেছে, সেগুলোতে বলা হয়েছেÍ মার্কিন শিক্ষার্থীদের চাপে রাখতেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যাপারে এত আগ্রহী হয়ে উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এক বিবৃতিতে মার্কিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত নাগরিক অধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। মার্কিন নাগরিক অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল ১৯৬৪ সালে এবং এই আইনের মূল লক্ষ্য ছিল গায়ের রঙের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অশ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি যেন বৈষম্য-বঞ্চনার শিকার না হয়। সেই আইনটিই এখন প্রয়োগ করা হচ্ছে শ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থীদের পক্ষে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির কারণে কোনো শ্বেতাঙ্গ মার্কিন শিক্ষার্থী কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কি নাÍ সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য এখনও জানা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বৈচিত্রকে ধারণ করার সংস্কৃতি বেশ দৃঢ়। দেশেটিতে যেসব জাতিস্বত্ত্বা, লিঙ্গ ও বর্ণের লোকজন পিছিয়ে আছেন, তাদেরকে সরকারিভাবে সহায়তাও প্রদান করা হয়। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বধীন প্রশাসন এই নীতি মেনে চলতে আগ্রহী নয়। ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানানোর অভিযোগে কিছুদিন আগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ কোটি ডলারের তহবিল বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।