রয়টার্স : ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজার একমাত্র ক্যাথলিক গির্জায় ইসরাইলি হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতেই ফোন করেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ফোনকলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোয়াইট হাউজ। এই ঘটনার বিষয়ে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ‘ইতিবাচক ছিল না’ বলেও দাবি করেছে হোয়াইট হাউজ। জেরুসালেমের রোমান ক্যাথলিক চার্চের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক শাখা জানায়, গাজার একমাত্র ক্যাথলিক গির্জায় ইসরাইলি হামলায় তিনজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। ছোট এই গির্জাটি ক্যাথলিক বা অর্থোডক্স গির্জার ধর্মীয় প্রশাসনিক কেন্দ্র বা কর্তৃপক্ষের অধীনে রয়েছে।
অর্থোডক্স গির্জা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিক ও একটি পবিত্র স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করায় আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ গাজার হোলি ফ্যামিলি চার্চে এই হামলায় দুইজন নারী ও একজন পুরুষ নিহত হন।
হোয়াইট হাউজের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে মুখপাত্র বলেন, ‘এটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ছিল না। তিনি আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করে গাজার সেই গির্জায় হামলার বিষয়টি তুলেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার জানা মতে, প্রধানমন্ত্রী একটি বিবৃতি প্রকাশে সম্মত হয়েছেন। এটি একটি ভুল ছিল—ইসরাইলিরা ভুল করে সেই ক্যাথলিক গির্জাটিতে হামলা করেছে। প্রেসিডেন্টকে সেটিই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’ পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র আলাদাভাবে বলেন, ‘আমি মনে করি ‘তিনি খুশি হননি’ বলাটা খুবই সংযত মন্তব্য হবে।’ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, তারা ইসরাইলকে হামলার তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, ‘গাজার হোলি ফ্যামিলি চার্চে ভ্রান্ত গোলাবারুদের আঘাতে যা ঘটেছে, তার জন্য ইসরাইল গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।’ মেডিক ও গির্জা কর্মকর্তাদের মতে, বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে গির্জার ওই হামলায় নিহত তিনজনও রয়েছেন।