এনডিটিভি, রয়টার্স: মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কারণ ‘এটি বিপজ্জনক স্থান হয়ে উঠতে পারে’ বলে মনে করছে ওয়াশিংটন। গত বুধবার এমনটাই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে দেবে না। আমেরিকা তার ইরাকি দূতাবাস আংশিকভাবে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের আশপাশের স্থানগুলো ছেড়ে যাওয়ার জন্য সামরিক কর্মীদের অনুমতি দেবে।
তবে কোন নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তা জানায়নি চার মার্কিন এবং দুটি ইরাকি সূত্র। তবে সম্ভাব্য সরিয়ে নেওয়ার খবরের ফলে তেলের দাম ৪ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, পররাষ্ট্র দপ্তর বাহরাইন এবং কুয়েত থেকে স্বেচ্ছায় প্রস্থানের অনুমতি দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার সন্ধ্যায় তাদের বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ-বিষয়ক পরামর্শ আপডেট করেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘১১ জুন, পররাষ্ট্র দপ্তর আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে কম গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সরকারি কর্মীদের প্রস্থানের নির্দেশ দিয়েছে।’ মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এলো যখন অঞ্চলটিতে ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করছে। একদিকে, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ট্রাম্পের প্রচেষ্টা অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে, ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কারণ এটি একটি বিপজ্জনক স্থান হয়ে উঠতে পারে। আমরা দেখব কী হয়। আমরা সরে যাওয়ার নোটিশ দিয়েছি।’ অঞ্চলটির উত্তেজনা কমানোর জন্য কিছু করা যেতে পারে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইরান) পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারে না। খুবই সহজ, তাদের পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না। ’ ট্রাম্প বারবার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন এবং বুধবারের আগে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন যে তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে রাজি হবে, যা আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি।