DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে বিরক্ত কানাডা ও মেক্সিকো

মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনায় ক্রমেই বিরক্ত হচ্ছেন মেক্সিকো ও কানাডার কর্মকর্তারা। রয়টার্সকে তারা বলেছেন, শুল্ক আরোপ করে আদতে যুক্তরাষ্ট্র কী চায়, সে বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট দাবি দাওয়া নেই।

Printed Edition
Default Image - DS

৭ মার্চ, রয়টার্স : মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনায় ক্রমেই বিরক্ত হচ্ছেন মেক্সিকো ও কানাডার কর্মকর্তারা। রয়টার্সকে তারা বলেছেন, শুল্ক আরোপ করে আদতে যুক্তরাষ্ট্র কী চায়, সে বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট দাবি দাওয়া নেই। ফলে ফলপ্রসূ আলোচনা সম্ভব হচ্ছে না। চলতি সপ্তাহের শুরুতে দুই প্রতিবেশীর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে গত বৃহস্পতিবার আবার একমাসের জন্য এই সিদ্ধান্ত স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মেক্সিকোর তিনজন ও কানাডার দুজন কর্মকর্তা বলেছেন, শুল্ক ও শীর্ষ-পর্যায়ের বৈঠকের এই অনিশ্চয়তা নিয়ে তারা বিরক্ত। এ বিষয়ে এক মেক্সিকান কর্মকর্তা বলেছেন, এখনকার মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে তাল সামলানো অনেকটা ক্ষুব্ধ সঙ্গীর মন বোঝার চেষ্টা করার মতো। আপনি বুঝতে পারছেন আপনার সঙ্গী আপনার কাছে কিছু চাচ্ছে, কিন্তু সেটা স্পষ্ট করছে না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা এখন অনেকটা সে রকমই হয়েছে। ট্রাম্পের প্রশাসন শুল্কের আইনি ভিত্তি হিসেবে ফেন্টানিল এবং অবৈধ অভিবাসন রোধের কথা বললেও, তিনি ও তার সহযোগীরা বাণিজ্য ঘাটতি এবং গাড়ি ও কাঠ শিল্পের সুরক্ষার মতো বিষয়গুলোও যুক্ত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হলেও প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় সংযমের পরিচয় দিয়েছে মেক্সিকো। দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবম বলেছেন, ট্রাম্পকে তিনি শ্রদ্ধা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে হুটহাট সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার জন্য প্রকাশ্যে কঠোর সমালোচনা করতে পিছপা হয়নি কানাডা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে কানাডা। এই বক্তব্যের পর ট্রুডোকে নির্বোধ বলেছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট।

তবে পালটা জবাব দিয়েছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি। তিনি বলেছেন, প্রতি ৩০ দিন পরপর এসব নাটক আমরা আর সহ্য করতে পারব না। সমস্যাটা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কী চান, সেটাই স্পষ্ট নয়। আমি হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তাদের কাছে সরাসরি প্রশ্ন করেছিলাম তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে। তারা আমতা আমতা করে বলে, সেগুলো শিগগিরই জানানো হবে। ট্রাম্প বাদে প্রশাসনের বাকিরা কিছুই জানে না- এই দাবিকে হাস্যকর ও ভুয়া খবর বলে খারিজ করে দেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক।

কানাডা ও মেক্সিকোর কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, শুল্ক আরোপের কারণগুলো বারবার পরিবর্তিত হওয়ায় আলোচনা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফেন্টানিল, অবৈধ অভিবাসী, বাণিজ্য ঘাটতি- যুক্তরাষ্ট্রের সঠিক দাবিটিই নির্ধারণ করা কঠিন। এক মেক্সিকান কর্মকর্তা বলেছেন, শুল্ক আরোপের কারণ নিয়ে একেকবার একেক কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সমস্যা বুঝতে না পারলে আমরা সমাধানের পথে যেতে পারছি না।