রয়টার্স: ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছে, সে সম্পর্কে আগে থেকেই ওয়াকিবহাল ছিলেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরও বলেছেন, এখনও ইরানের সামনে পরমাণু প্রকল্প নিয়ে সমঝোতায় আসার সুযোগ রয়েছে। গত শুক্রবার ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা টেলিফোনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বলেছেন, “আমরা আগে থেকেই সব জানতাম এবং আমি ইরানকে অপমান, ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যু থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম; আমি খুব চেষ্টা করেছি ইরানকে রক্ষা করার জন্য, কারণ আমি মনেপ্রাণে চাইছিলাম যেন আমরা একটা সমঝোতায় আসতে পারি।” ইরানের পাল্টা হামলা থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করতে তেল আবিবের পাশে থাকবেন কিনাÍ রয়টার্সের এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইসরাইলের সমর্থক এবং ইরানে ইসরাইলের হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সংঘাত উসকে উঠবে কি নাÍ সে বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন নন। “আমরা ইসরাইলের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ। আমরা তাদের এক নম্বর মিত্র। দেখা যাক কী হয়।”

গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত ৮টি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা করে ইসরাইলের বিমানবাহিনী (আইএএফ)। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০০ জন। এছাড়া ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসহ সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন।

ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে এ হামালা চালানো হয়েছিল। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হামলায় ইরানের অন্তত ১০০টি স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইসরাইলী প্রতিরক্ষা বাহিনী এ সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে ‘দ্য রাইজিং লায়ন’। অতর্কিত হামলার পর শুক্রবার রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ সেনা অভিযান শুরু করে ইরান। এতে একজন নিহত এবং ৪১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত শুক্রবার ভোরে ইরানে হামলা শুরুর কিছুক্ষণ পর এক ভিডিওবার্তায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যতদিন ইরানের পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি থাকবে, ততদিন ‘দ্য রাইজিং লায়ন’ চলবে। জবাবে শনিবার সকালে পাল্টা এক বিৃবতিতে ইরানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে তাদের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’-ও অনির্দিষ্টকালের জন্য চলমান থাকবে।