রয়টার্স: আল কায়েদার সঙ্গে সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সক্রিয় কোনও সংযোগ চলতি বছর খুঁজে পায়নি জাতিসংঘ। প্রতিবেদনটি এখনও প্রকাশ করেনি জাতিসংঘ। তবে চলতি মাসেই তা জনসম্মুখে আসার সম্ভাবনা আছে। এই প্রতিবেদন সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামসের এইচটিএস ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোরাল করবে। সিরিয়ায় আল কায়েদার শাখা হিসেবে পরিচালিত আল নুসরা গোষ্ঠীই পরে এইচটিএস নামে পরিচিত হয়। তবে ২০১৬ সাল থেকে আল কায়েদার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই বলে গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা দাবি করলেও অনেক বিশ্লেষক এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। গত বছর ডিসেম্বরে এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বেই বিদ্রোহীরা আসাদ সরকারকে উৎখাত করে। এইচটিএসের নেতা আহমেদ আল-শারা বর্তমানে দেশটির অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জাতিসংঘের এই পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক কৌশলগত পর্যায়ের সদস্য আল-শারা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের চেয়ে বেশি চরমপন্থি মতাদর্শে বিশ্বাসী। তবে আল-শারা এবং খাত্তাবকে তুলনামূলকভাবে বাস্তববাদী হিসেবে দেখা হয়। আল-শারা ইতোমধ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক সিরিয়া গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় রয়েছে এইচটিএস। তাদের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও বৈশ্বিক সম্পদ জব্দের আদেশ কার্যকর রয়েছে। আল-শারা নিজেও ২০১৩ সাল থেকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন।
জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকেরা নিরাপত্তা পরিষদে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে লিখেছেন, এইচটিএস ও এর সহযোগী গোষ্ঠীর একাধিক সদস্য, বিশেষত যারা কৌশলগত ভূমিকা বা নতুন সিরীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত, তারা আদর্শগতভাবে এখনও আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত বলে কিছু সদস্যরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া নীতিতে বড় পরিবর্তনের ঘোষণা দেন।