রয়টার্স : যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বড় ধরনের কর ছাড় ও ব্যয় বিল পাস হয়েছে। গত মঙ্গলবার সিনেটের রিপাবলিকান সদস্যরা খুব অল্প ব্যবধানে বিলটি পাস করাতে সক্ষম হন। এই বিলে কর কমানো, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি কমানো, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে খরচ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তবে এ বিলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ আরও ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার বেড়ে যাবে।

এখন বিলটির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রতিনিধি পরিষদে পাঠানো হয়েছে। তবে সেখানকার কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য ইতিমধ্যেই সিনেটে যুক্ত হওয়া বিলের কিছু শর্তের বিরোধিতা করেছেন। ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের আগেই ট্রাম্প বিলটিতে স্বাক্ষর করে সেটি আইনে পরিণত করতে চান। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসনও বলেছেন, তিনি সেই সময়সীমার মধ্যেই কাজ শেষ করতে চান। বিলটি ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে দেওয়া কর ছাড়েরই সম্প্রসারিত রূপ। পাশাপাশি বকশিশ ও অতিরিক্ত সময় কাজ করাজনিত আয়ের ক্ষেত্রে নতুন কর ছাড় দেওয়া হবে। সেনাবাহিনী ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে খরচও বাড়ানো হবে। এই বিলে কম আয়ের মার্কিন নাগরিকদের জন্য মেডিকেইড নামের স্বাস্থ্য কর্মসূচি ও খাদ্যসহায়তা কর্মসূচির খরচ থেকে প্রায় ৯৩ হাজার কোটি ডলার কাটার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদকালে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির জন্য দেওয়া অনেক সুবিধাও বাতিল করা হবে।

বিলটি নিয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যেও মতভেদ দেখা দিয়েছে। কারণ, বিলটি দেশটিতে দ্রুত বাড়তে থাকা ৩৬ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারের জাতীয় ঋণের বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে। এ বিলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের নিজেদের নির্ধারিত ঋণসীমা আরও ৫ লাখ কোটি ডলার বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে।