এক্স: যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ গত মঙ্গলবার ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ট্রেজারির অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের তেলকে ইরাকি তেলের আড়ালে পাচারের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তিসহ চারটি সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি তেল ট্যাঙ্কারকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রেজারি বিভাগের ইরান-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য ইরাকি-কিটিয়ান ব্যবসায়ী ওয়ালিদ আল-সামারাই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত শিপিং সংস্থা ও জাহাজের একটি নেটওয়ার্ককে শাস্তি দিয়েছে। তারা ইরানের তেলকে ইরাকি তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ইরাকি মূল উৎস হিসেবে বাজারজাত করছিল। এ কৌশলের মাধ্যমে ইরানি সরকার এবং আল-সামারাই উভয়ই শত শত মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছে। এছাড়া, ট্রেজারি আরও জানিয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় নয়টি তেল ট্যাঙ্কার এবং সাতটি কোম্পানিকেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

মার্কিনিরা শুধু কথার কথা বলে: ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এসএনএসসি) সেক্রেটারি আলি লারিজানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পথ ইরান বন্ধ করে দেয়নি। তবে ওয়াশিংটনই বিতর্কিত ইস্যু সামনে এনে আলোচনার উদ্যোগ নেয় না। লারিজানি এক পোস্টে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পথ বন্ধ নয়; কিন্তু মার্কিনিরা শুধু কথার কথা বলে, আলোচনার টেবিলে আসে না। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মার্কিনিরা ভুলভাবে ইরানকে দায়ী করছে আলোচনায় না বসার জন্য। এ সময় এসএনএসসি সেক্রেটারি জোর দিয়ে বলেন, আমরা অবশ্যই যৌক্তিক আলোচনা চাই। তবে ক্ষেপণাস্ত্র সীমাবদ্ধতার মতো অবাস্তব ইস্যু সামনে এনে তারা এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা আলোচনাকেই অকার্যকর করে দেয়।