দূষণ রোধে দীল্লিতে কিছু যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা
বায়ুদূষণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় আগামী ১ নভেম্বর থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট এর নির্দেশনার ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিল্লি পরিবহন বিভাগের এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দিল্লির বাইরে নিবন্ধিত এবং বিএস-৬ মানদণ্ডে অযোগ্য ডিজেলচালিত ট্রাক বা বাণিজ্যিক যানবাহন আর রাজধানী শহরে ঢুকতে পারবে না। তবে, বিএস-৪ মানের বাণিজ্যিক যানবাহনগুলোকে ৩১ অক্টোবর ২০২৬ পর্যন্ত অন্তর্র্বতীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, দিল্লিতে নিবন্ধিত বাণিজ্যিক পণ্যবাহী যান, বিএস-৬ মানের ডিজেল যান, বা বিএস-৪ মানের যান (২০২৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত) এবং সিএনজি, এলএনজি বা বৈদ্যুতিকচালিত যানবাহনের ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। ধাপে ধাপে কার্যকর ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’-এর আওতায় দূষণ পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাণিজ্যিক যানবাহনের প্রবেশেও নিয়ন্ত্রণ জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবরের বৈঠকে, সিএকিউএম দিল্লিতে দূষণকারী বাণিজ্যিক যানবাহনের প্রবেশে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন দেয়। অন্যদিকে, পরিবহন খাতের সংগঠনগুলো সরকারের কাছে সময়সীমা কিছুটা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। এনডিটিভি
ফের মস্কোয় ড্রোন হামলা চালাল ইউক্রেন
আবারও রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও মস্কোর মেয়র এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় রাতেও ইউক্রেন মস্কো লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে জারি করা এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট ১৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে একটি ড্রোন মস্কোর দিকে যাচ্ছিল, আর ১৩টি ধ্বংস করা হয়েছে কালুগা অঞ্চলের আকাশে, যা মস্কো অঞ্চলের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে জানান, যে স্থানে ড্রোনটি পড়ে গেছে সেখানে জরুরি সেবা দল পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাশিয়া সাধারণত অভ্যন্তরীণ এলাকায় ইউক্রেনীয় হামলার পূর্ণমাত্রার তথ্য প্রকাশ করে না, যদি না তা বেসামরিক নাগরিক বা স্থাপনাকে প্রভাবিত করে। বাকি তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে, যা ইউক্রেন সীমান্তের পশ্চিমে এবং কালুগার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। ব্রায়ানস্কের গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ জানিয়েছেন, হামলায় একজন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাশিয়া ও ইউক্রেনÍদুই দেশই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে, যদিও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই ইউক্রেনীয়। এর আগে সোমবারও রাশিয়া দাবি করেছিল যে, তারা ৩৪টি ইউক্রেনীয় ড্রোন মস্কো লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হলে তা ভূপাতিত করেছে। রয়টার্স
কেনিয়ায় ১২ আরোহীসহ বিমান বিধ্বস্ত
কেনিয়ায় ১২ জন আরোহী নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। কেনিয়া সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (কেসিএএ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কেসিএএ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে দিয়ানি থেকে কিচওয়া টেম্বো যাওয়ার পথে ৫ওয়াই-সিসিএ নামে নিবন্ধিত বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিবৃতিতে কেসিএএ আরও জানায়, বিমানটি যখন বিধ্বস্ত হয়, তখন তাতে ১২ জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণ এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে কোয়ালে কাউন্টির দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, বিমানে থাকা ১২ জনের কাউকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। দিয়ানি থেকে যাত্রা শুরু করার পর সকাল ৮টার দিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। রয়টার্স, বিবিসি, দ্য কেনিয়া টাইমস
ধেয়ে আসছে বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মেলিসা
এ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকা উপকূলে। এখন পর্যন্ত সেখানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে এত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানেনি জ্যামাইকা উপকূলে। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন, এই ঘূর্ণিঝড়টি প্রাণঘাতী ও এটি মহা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে দেশটিতে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৭৫ মাইল বা ২৮২ কিলোমিটার গতিতে হারিকেন মেলিসা এখন ক্যাটাগরি পাঁচ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। যেটি ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ স্তর। এটি ক্রমান্বয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করছে এবং মঙ্গলবার ভোরের দিকে ক্যারিবীয় দ্বীপ জ্যামাইকায় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে জ্যামাইকায় তিনজনের প্রাণহানির পাশাপাশি হাইতি ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রেও এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুবই ধীর গতিতে উপকূলের দিকে যাচ্ছে ঝড়টি। যে কারণে যে এলাকা দিয়ে ঝড়টি অতিক্রম করবে, সেখানে দীর্ঘ সময় তাণ্ডব চালাতে পারে। ফলে, একদিকে যেমন প্রবল বর্ষণ হবে, অন্যদিকে, বন্যা ও ভূমিধ্বসের ঝুঁকিও বাড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বা এনএইচসি জানিয়েছে, সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ও কেন্দ্রীয় চাপের দিক থেকে মেলিসা এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। বিবিসি