৪ এপ্রিল, রয়টার্স : সিরিয়ায় বিমান হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে ইসরাইল। দামেস্কের নতুন ইসলামিক শাসকগোষ্ঠীকে সতর্ক করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছে তেল আবিব। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই একই বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করেছে, সিরিয়াকে আশ্রিত রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে তুরস্ক। ইসরাইলী সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এক অভিযান পরিচালনার সময় একাধিক সশস্ত্র ব্যক্তি তাদের ওপর গুলীবর্ষণ করে। এসময় তাদের পালটা হামলায় একাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানা বলেছে, ইসরাইলী হামলায় ওই এলাকায় নয় জন নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলী হামলাকে ‘অযৌক্তিক উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রয়াস’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আগ্রাসন বন্ধের জন্য ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। এদিকে, সিরিয়া, লেবানন ও নিকটবর্তী অঞ্চলে নেতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য তুরস্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে ইসরাইল। প্যারিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার বলেছেন, সিরিয়াকে নিজেদের অধীনস্থ অঞ্চল বানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে তুরস্ক। তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের কোনও সন্দেহ নেই।

ডিসেম্বরে আসাদ সরকারের পতন হওয়ার পর থেকেই সিরিয়ায় ইসলামপন্থি গোষ্ঠীর উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে ইসরাইল। সে আশঙ্কার বহিঃপ্রকাশ থেকেই বিগত কয়েকমাসের ধারাবাহিকতায় দামেস্ক ও নিকটবর্তী বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে তেল আবিব। আসাদ সরকার পতনের পর থেকেই সিরিয়ার নিজেদের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরাইল। সে উদ্দেশ্যেই সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূমি দখল, সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়কে সুরক্ষা প্রদান, সিরীয় সেনাবাহিনীর ভারী অস্ত্রশত্র ধ্বংস করা এবং দেশটিকে দুর্বল রাখতে হোয়াইট হাউজকে প্ররোচিত করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। ইসরাইলী হামলার পর বৃহস্পতিবার তাদের নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে আঙ্কারা। তাদের অভিযোগ, সিরিয়ার স্থিতিশীলতা প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত করছে ইসরাইল এবং তাদের উচিত অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার করা।