দুই ঘণ্টার পথ এখন দু’মিনিটের
চীনে নির্মাণ কাজ শুরুর তিন বছর পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। গত রোববার সেতুটির উদ্বোধন করা হয়। গুইঝো প্রদেশের বেইপান নদীর ওপর নির্মিত এ সেতুটি ডেক থেকে নিচ পর্যন্ত ৬২৫ মিটার (২ হাজার ৫১ ফুট) উঁচু, যা এটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতুর খেতাব এনে দিয়েছে। মোট ২ হাজার ৮৯০ মিটার দীর্ঘ এবং ১ হাজার ৪২০ মিটার কেন্দ্রীয় স্প্যান বিশিষ্ট এই সেতু পাহাড়ি অঞ্চলে নির্মিত বৃহত্তম স্প্যানের সেতুর খেতাবও অর্জন করেছে। মাত্র তিন বছরে (২০২২ সালে নির্মাণ শুরু) সম্পন্ন হওয়া এ প্রকল্পটি লিউঝি-আনলং এক্সপ্রেসওয়ের অংশ, যা দুর্গম এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।সেতুটি চালুর আগে এ পারাপারে সময় লাগত প্রায় দুই ঘণ্টা। এখন সেই পথ পাড়ি দিতে লাগবে মাত্র দুই মিনিট, যা যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বিপ্লব এনে দিয়েছে। নতুন এ সেতুটি এর আগে সর্বোচ্চ সেতু হিসেবে স্বীকৃত একই নদীর ওপরে নির্মিত দুগে ব্রিজ (৫৬৫ মিটার উচ্চতা)কেও ছাড়িয়ে গেছে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় কর্মকর্তারা, প্রকৌশলীরা এবং বাসিন্দারা অংশ নেন ও এই ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন করেন। বিশ্বের ‘সেতু জাদুঘর’ হিসেবে পরিচিত গুয়েঝো প্রদেশ আবারও তার আকাশরেখায় নতুন এক স্থাপনার সংযোজন করেছে।শুধু যোগাযোগ নয়, হুয়াজিয়াং ব্রিজকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে পর্যটনের নতুন কেন্দ্রও। গালফ নিউজ, সিনহুয়া।
শ্রীলঙ্কায় ক্যাবল কার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৮
শ্রীলঙ্কায় ক্যাবল কার দুর্ঘটনায় আহত আরও একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু গত রোববার মারা গেছেন। এ নিয়ে গত বুধবার সংঘটিত এ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে। খবরে বলা হয়, গত বুধবার রাতে শ্রীলঙ্কার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কুরুনেগালা জেলার একটি মঠের কাছে পাহাড়ের ঢালে ক্যাবল কারটি আছড়ে পড়ে। এতে তিনজন বিদেশিসহ সাতজন বৌদ্ধ ভিক্ষু তৎক্ষণাত মারা যান। আহত ছয়জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর ছিল।দেশটির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালে থাকা ছয়জন ভিক্ষুর মধ্যে একজন গত রাতে মৃত্যুবরণ করেছেন।তিনি বলেন, শনিবার মঠের কাছে একটি কবরস্থানে পাঁচজন ভিক্ষুর লাশ দাফন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন শ্রীলঙ্কার এবং একজন রোমানিয়ার। একজন রুশ ভিক্ষুকে শ্রীলঙ্কান ভিক্ষুদের সঙ্গে দাফন করা হবে বলে মঠের একজন মুখপাত্র জানান। তিনি বলেন, তৃতীয় বিদেশি ভিক্ষু একজন ভারতীয় নাগরিক। তার মরদেহ পরিবারের কাছে ভারতে পাঠানো হয়েছে। ১৩ জন ভিক্ষু মঠের ওপরে একটি পাহাড়ের চূড়ায় ধ্যান ইউনিটে যাওয়ার জন্য ছোট একটি অস্থায়ী ক্যাবল কারে চড়েছিলেন। এএফপি।
আরও এক মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিল তালেবান
আরও এক মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবান। স্থানীয় সময় রবিবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।ওয়াশিংটনের বন্দিমুক্তি বিষয়ক বিশেষ দূত অ্যাডাম বোহেলার আফগানিস্তান সফরের পর ওই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে ওয়াশিংটন নিশ্চিত করেছে।আমির আমিরি নামের ওই মার্কিন নাগরিক ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আফগানিস্তানে আটক ছিলেন। কাতারের মধ্যস্থতায় তার মুক্তি ঘটে এবং রবিবার সন্ধ্যায় তিনি দোহার উদ্দেশে রওনা করেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবানকে বাগরাম বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানোর প্রায় এক সপ্তাহ পর বোহেলারকে মুক্তি দেওয়া হলো। সম্প্রতি ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, বাগরাম বিমানঘাঁটি ফিরিয়ে দেওয়া না হলে আফগানিস্তানের জন্য ‘খারাপ কিছু’ ঘটবে।চলতি বছর এটা ছিল তালেবানের হাতে আটক পঞ্চম মার্কিন নাগরিকের মুক্তি, যার কৃতিত্ব কাতারকে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আট মাস ধরে আটক থাকা এক ব্রিটিশ দম্পতিকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, আমিরিকে মুক্ত করতে সাহায্য করার জন্য আমি কাতারকে ধন্যবাদ জানাই। প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না অন্যায়ভাবে আটক হওয়া আমেরিকানদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, আমরা থামব না। সূত্র: রয়টার্স
নয়াদিল্লির তিন শতাধিক স্কুলে বোমা হামলার হুমকি
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির তিন শতাধিক স্কুল ও একাধিক বিমানবন্দরে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।‘টেরোরাইজার্স ১১১’ নামের একটি গোষ্ঠী চিঠি দিয়ে এই হুমকি দিয়েছে।রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৮ মিনিটে ৩০০ স্কুলের ইমেইল আইডিতে একযোগে পাঠানো মেইলবার্তায় এই হুমকি দেয়।দিল্লি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন শতাধিক স্কুলের মধ্যে নয়াদিল্লির দ্বারকা এলাকার সিআরপিএফ পাবলিক স্কুল এবং কুতুব মিনার এলাকার সর্বোদয় বিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।বোমা হামলার হুমকি দেওয়া মেইলবার্তায় বলা হয়েছে, ‘স্কুল এবং বিমানবন্দরের প্রশসানকে বলছি- আমি সন্ত্রাসী গ্রুপ টেরোরাইজার্স ১১১-এর শীর্ষ নেতা। এই অভিশপ্ত পৃথিবীতে কোনও কিছু পরিকল্পনামতো হয় না; আপনাদের স্কুল ভবনে বোমা ফিট করে রাখা হয়েছে। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনারা কোনও পদক্ষেপ না নেন, তাহলে রক্তের বন্যা দেখার জন্য তৈরি থাকুন।’ নিজের সম্পর্কে ওই হুমকিদাতা বলেন, ‘আমাকে কারোর স্পর্শ করার ক্ষমতা নেই, আমি নিজেকে সীমার মধ্যে আটকে রাখতে পারি না, কারণ আমি অসীম। আমি মন্দের সন্তান, আমি ঘৃণার অর্থ।”দিল্লি পুলিশের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘মেইল পাঠানোর কিছুক্ষণের মধ্যে স্কুলগুলোতে পুলিশ টিম, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট পৌঁছে যায়। সূত্র: এনডিটিভি।