দ্য খবর হাব,রয়টার্স : নেপালে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ায় আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেস। পাশাপাশি নেপাল বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকেও এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা জানানো হয়। গত শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠকে পার্লামেন্ট অবলুপ্তির বিপক্ষে কঠোর অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন দলটির নেতৃবৃন্দ। দলের মুখ্যসচিব কৃষ্ণ প্রসাদ পাওদেলের ইস্যু করা এক বিবৃতিতে নেপালি কংগ্রেস বলে, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া দেশের সংবিধানের কাঠামো এবং সর্বোচ্চ আদালতের দিকনির্দেশনার পরিপন্থি।

নেপালি কংগ্রেসের আশঙ্কা, পার্লামেন্ট ভাঙার কারণে নেপালের গণতান্ত্রিক অর্জন যেমন ব্যাহতের পাশাপাশি তরুণদের বিক্ষোভের চেতনাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নেপালে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন থেকে হঠাৎ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। এরপর অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন, যা অনুমোদন করেন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওদেল।

পার্লামেন্ট ভাঙার পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক ও কর্তৃত্ববাদী বলে সমালোচনা করেছে বার অ্যাসোসিয়েশন। তাদের তরফ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই পদক্ষেপ সংবিধানের প্রাধান্য ও আইনের শাসনের পরিপন্থী। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের জন্য নেপালি জনগণের দীর্ঘ ও কঠিন সংগ্রামকে খাটো করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে অতীতে পার্লামেন্ট পুনর্বহাল করা হয়েছিল। হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস অবলুপ্ত করে সেই রায়ের বিরোধিতা করা হয়েছে। কোনও অজুহাতেই এমন পশ্চাদমুখী পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় বলে বিবৃতিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়।