সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড জাপানের

জলবায়ু পরিবর্তনে বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা। এর থেকে বাদ যায়নি সূর্যাস্তের দেশ জাপানও। দেশটি নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চতাপমাত্রা রেকর্ডকরেছে। জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দূরে টাম্বা শহরে বুধবার ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশটির ইতিহাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০ সালে একই শহরে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা ছিল সর্বোচ্চ। তবে বুধবারের তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ডকে ভেঙে ফেলেছে।এছাড়া জাপানের কোয়োতোর ফুকুচিয়ামা শহরেও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি ওকাইয়ামার মানিওয়া শহর ও হুয়োগোর নিশিওয়াকি শহরে একই ধরনের তাপমাত্রা দেখা গেছে। ৩৩ এলাকায় হিটস্টোক এলার্ট জারি করা হয়েছে।গত সপ্তাহে হিটস্টোকে আক্রান্ত হয়েছে জাপানের ১০ হাজার ৮০০ নাগরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এছাড়া উষ্ণতা সংক্রান্ত ইস্যুতে মারা গেছে ১৬ জন।ক্রমান্বয়ে জাপানের তাপমাত্রা বাড়ছে- তা বুধবারের উষ্ণতায় বুঝা যায় বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।গত মাস ছিল জাপানের সবচেয়ে উষ্ণতম জুন মাস। আল-জাজিরা।

পরিস্থিতি এখনও অস্থির

সম্প্রতি সংঘর্ষ বন্ধে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হলেও কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে থাইল্যান্ড। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের সিসাকেত প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় কম্বোডিয়ান সেনারা গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।থাই সরকার এটিকে ‘যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে। তবে কম্বোডিয়া এর আগেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।এই দুই দেশের মধ্যকার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে পাঁচদিনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছে। থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের ১৫ জন সেনা ও ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া জানিয়েছে ৮ জন বেসামরিক ও ৫ জন সেনা নিহত হয়েছে।সংঘর্ষের পেছনে মূল কারণ সীমান্তের কিছু ধর্মীয় স্থাপনাকে ঘিরে দীর্ঘদিনের বিরোধ। ১৯০৭ সালে ফরাসি শাসনামলে তৈরি অস্পষ্ট সীমান্তরেখা নিয়ে দুই দেশেই দাবি রয়েছে।চুক্তির আওতায় সীমান্তে দুই দেশের কমান্ডারদের মধ্যে বৈঠক হয় এবং নতুন করে সেনা মোতায়েন না করার বিষয়ে একমত হয়। তবে থাইল্যান্ড সতর্ক করে বলেছে, যুদ্ধবিরতির শুরুর সময়টি এখনো খুবই ‘অস্থির’ ও ‘সংবেদনশীল’। ইন্টারনেট।

বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশী পাসপোর্টের অগ্রগতি

২০২৫ সালের হেনলে পাসপোর্ট সূচকের অর্ধবার্ষিকী প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশি পাসপোর্টের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সূচকে বাংলাদেশ তিন ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছে ৯৪তম স্থানে, যেখানে ২০২১ সালে ছিল ১০৮তম স্থানে। বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকেরা ৩৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারছেন।অন্যদিকে, ব্রিটিশ পাসপোর্ট, এক সময়ের শীর্ষস্থানীয় ভ্রমণ নথি, এখন ৬ষ্ঠ স্থানে নেমে এসেছে। ২০১৫ সালে প্রথম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্য এখন ১৮৬টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পেলেও, আগের মর্যাদা থেকে এটি এখন অনেক নিচে। যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টও একই ধরণের পতনের মুখে, ১০ম স্থানে নেমে এসে এখন ১৮২টি দেশে প্রবেশাধিকার রয়েছে।পাসপোর্ট সূচক ধারণার উদ্ভাবক ড. ক্রিশ্চিয়ান এইচ. কেলিন বলেন, প্রবেশাধিকার অর্জন করতে হয় এবং তা বজায় রাখতে হয় কৌশলগত ও সক্রিয় কূটনীতির মাধ্যমে।সিঙ্গাপুর পাসপোর্ট ১৯৩টি দেশে প্রবেশাধিকার নিয়ে সূচকের শীর্ষে রয়েছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ১৯০টি দেশে প্রবেশাধিকার নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় এবং ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনসহ সাতটি ইইউ দেশের পাসপোর্ট ১৮৯টি দেশে প্রবেশাধিকার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে আরও ইউরোপীয় দেশ ও নিউ জিল্যান্ড।সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান, যার নাগরিকরা মাত্র ২৫টি দেশে পূর্ব ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন। ইন্টারনেট।

ডাচ রাষ্ট্রদূতকে তলব

ফিলিস্তিনীদের প্রতি ইসরাইলের অভিযান নিয়ে সমালোচনা এবং দুই কট্টরপন্থি ইসরাইলি মন্ত্রীর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির ঘটনায় তেল আবিবে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার মঙ্গলবার এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেন, নেদারল্যান্ডস সরকার ইসরাইলের চরম সংকটের সময়ে পুরনো বন্ধুত্বকে প্রকাশ্য বৈরিতায় রূপ দিয়েছে। সম্ভবত এটি তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ থেকেই করা হয়েছে।সোমবার রাতে ডাচ সরকার এক চিঠিতে জানায়, তারা ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে গাজায় চলমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে।পাশাপাশি, ডাচ সরকার ইসরাইলি কট্টরপন্থি দুই মন্ত্রী ইতামার বেন-গেভির ও বেজালেল স্মোত্রিচের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাআরোপ করেছে। ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।এর আগে, গত মাসে ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও নরওয়েও এই দুই ইসরাইলি মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। রয়টার্স।