আল-আলম : ইরান সেনাবাহিনী এমন কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র ধারণ করে যেগুলো গোপন, এমনকি ‘অতিগোপন’ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দ্বারা চালি এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির স্থলবাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিয়োমারস হেইদারি। আমাদের হাতে এমন অস্ত্র আছে যেগুলো এখনো জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি কৌশলগত কারণে। কিন্তু সেগুলো সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় ও ব্যবহারের উপযোগী।
ইরান-ইরাক যুদ্ধ (১৯৮০-৮৮) পরবর্তী সময়ে ইরানের স্থলবাহিনীর মধ্যে একটি আমূল পরিবর্তন এসেছে যেখানে বাহিনীটি এখন একটি গতিশীল, আধুনিক ও দ্রুত হস্তক্ষেপে সক্ষম শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। হেইদারি আরও বলেন, আজকের দিনে আমাদের ইউনিটগুলো দ্রুত গতিতে মোতায়েন হতে পারে, উচ্চমাত্রার অভিযানে সক্ষম এবং প্রতিক্রিয়াশীল। বাহিনীটির নজরদারি এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ইরানের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলে ১০টি ডিভিশন মোতায়েন করা হয়েছে, যেগুলো গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষার দিক থেকে পূর্ণ সক্ষম। তবে এর মানে এই নয় যে সব ধরনের হুমকি দূর হয়ে গেছে। বরং এটি একটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ, যা স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের শেষ তিন মাসে বাহিনীটি দেশের পূর্ব, পশ্চিম এবং উপকূলীয় এলাকায় তিনটি বৃহৎ সামরিক মহড়া পরিচালনা করেছে বলেও জানান হেইদারি। আধুনিক যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে হেইদারি বলেন, সাইবার হামলার হুমকি মোকাবেলায় ইরান সেনাবাহিনী বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করেছে এবং এই ইউনিটগুলো এখন সর্বোচ্চ প্রযুক্তি সক্ষমতায় সজ্জিত। ইরান সেনাবাহিনী এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর মধ্যে স্থল, সমুদ্র এবং আকাশসব ক্ষেত্রেই ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও সহযোগিতা বিদ্যমান। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানের সেনাবাহিনীকে আঞ্চলিক এক নিরবিচল শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, সেনাবাহিনীর কাঠামোগত দৃঢ়তা ও প্রস্তুতি অন্যান্য দেশগুলোর জন্য আদর্শ।