আল জাজিরা, রয়টার্স : নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসপার ভেল্ডক্যাম্প পদত্যাগ করেছেন। ইসরায়েলের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার সমর্থন না পাওয়ার পর তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। ভেল্ডক্যাম্প মধ্য-ডানপন্থী নিউ সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট দলের সদস্য। গত শুক্রবার ভেল্ডক্যাম্প বলেন, তিনি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের’ বিষয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি; বরং আগে থেকে জারি থাকা নিষেধাজ্ঞাগুলো নিয়ে তাঁকে সহকর্মীদের সঙ্গে বারবার দ্বন্দ্বে জড়াতে হয়েছে। এর আগে ভেল্ডক্যাম্পের উদ্যোগে চরম-ডানপন্থী ইসরায়েলি মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও ইতামার বেন-গভিরের ওপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল নেদারল্যান্ডস। এ দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় বসতি স্থাপনকারীদের উসকে দিচ্ছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে ভেল্ডক্যাম্প ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীর ওপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন। তবে গাজা নগরীতে ইসরায়েলি হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে তাঁর ওপর চাপ বাড়তে থাকে। অনেকে বলতে থাকেন, নেদারল্যান্ডস সরকারের আরও বেশি করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এ ছাড়া ভেল্ডক্যাম্প তাঁর দেশ থেকে ইসরায়েলে জাহাজের যন্ত্রাংশ রপ্তানির তিনটি অনুমতিপত্রও বাতিল করেছিলেন। গাজা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি তখন আশঙ্কা জানান, যন্ত্রাংশগুলোর অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহার হতে পারে। ভেল্ডক্যাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে, সেটাও আমি দেখতে পাচ্ছি। গাজা নগরে হামলা হতে দেখছি, পশ্চিম তীরে বিরোধপূর্ণ বসতি ই-১ নির্মাণের সিদ্ধান্ত এবং পূর্ব জেরুজালেমের পরিস্থিতি নিয়ে কী কী হচ্ছে, তা দেখছি।’

ভেল্ডক্যাম্প পদত্যাগ করায় নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদটি শূন্য হয়ে গেল। এমন সময়ে তিনি পদত্যাগ করলেন, যখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা করছে। ভেল্ডক্যাম্পের পদত্যাগের পরে নিউ সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট দলের সব মন্ত্রী ও সচিব তাঁর প্রতি সংহতি জানিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বার্লিন থেকে প্রতিনিধি স্টেপ ভেসেন বলেছেন, ভেল্ডক্যাম্পের ওপর ক্রমাগত পার্লামেন্ট সদস্যদের চাপ বাড়ছিল। বিশেষ করে বিরোধীদলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের, যাঁরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ চাইছেন, তাঁদের চাপের মধ্যে ছিলেন তিনি। বার্লিন থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি স্টেপ ভেসেন বলেছেন, ভেল্ডক্যাম্পের ওপর ক্রমাগত পার্লামেন্ট সদস্যদের চাপ বাড়ছিল। বিশেষ করে বিরোধীদলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের, যাঁরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ চাইছেন, তাঁদের চাপের মধ্যে ছিলেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ আগে ভেল্ডক্যাম্প ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীর ওপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন। তবে গাজা নগরীতে ইসরায়েলি হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে তাঁর ওপর চাপ বাড়তে থাকে। অনেকে বলতে থাকেন, নেদারল্যান্ডস সরকারের আরও বেশি করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নেদারল্যান্ডস সরকার ইসরায়েলের ওপর সীমিত আকারে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তারা ইসরায়েলকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।