২৩ মার্চ, আল জাজিরা, রয়টার্স : ইসরাইলী বিমান হামলায় দক্ষিণ লেবাননের উপকূলীয় শহর টায়ারে একজন নিহত হয়েছেন। বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার দ্বিতীয় দফার ইসরাইলী হামলায় টায়ারের দক্ষিণ-পূর্বের ক্লাইলে এলাকায় চারজন আহত হয়েছে। এর আগে শনিবার সকালে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম সতর্ক করে বলেন, তার দেশ ‘নতুন এক যুদ্ধে’ জড়িয়ে পড়তে পারে। লেবানন সরকার ও স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবারের এই হামলাগুলো ইসরাইলের একটি বড় ধরনের সামরিক তৎপরতা নির্দেশ করে। টায়ার দক্ষিণ লেবাননের অন্যতম বৃহত্তম শহর। এছাড়া টায়ারের দক্ষিণ-পূর্বে জিবকিন এলাকায়ও আরেকটি হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইসরাইলী সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে তারা হিজবুল্লাহ লক্ষ্যবস্তুতে দ্বিতীয় দফার হামলা চালাচ্ছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘দক্ষিণ সীমান্তে ইসরাইলের নতুন সামরিক অভিযান লেবানন ও লেবাননের জনগণের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।’ কারণ ইসরাইলের কয়েক ডজন বিমান হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণের তুলাইন এলাকায় ইসরাইলী হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুইজন শিশু রয়েছে। প্রাথমিক হামলায় ১১ জন আহত হয়েছে।
ইসরাইলী সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবাননের সীমান্ত থেকে প্রায় ৬ কিমি উত্তরে একটি এলাকা থেকে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যা তারা আটকাতে সক্ষম হয়। এরপর ইসরাইল দাবি করেছে যে তারা হিজবুল্লাহর রকেট লঞ্চার লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইসরাইলে চালানো সাম্প্রতিক রকেট হামলার সাথে জড়িত নয়। হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসরাইল অযৌক্তিক অজুহাত সৃষ্টি করে নতুন করে হামলা চালানোর সুযোগ নিচ্ছে। তারা আরও জানিয়েছে যে, তারা ২০২৩ সালের নভেম্বরে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওই চুক্তি ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এক বছরের যুদ্ধ বন্ধ করেছিল। লেবাননের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিশেল মেনাসা বলেছেন, লেবাননের সেনাবাহিনী রকেট হামলার পরিস্থিতি তদন্ত শুরু করেছে। তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে, তারা যেন ‘ইসরাইলকে এর অব্যাহত লঙ্ঘন ও ভিত্তিহীন অজুহাতে হামলা থেকে বিরত রাখে।’