টাইমস অব ইসরাইল, আল-হাদাত : ফিলিস্তিনী স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সৌদীর সংবাদমাধ্যম । গত সপ্তাহে খান ইউনিসে মোহাম্মদ সিনওয়ারকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় দখলদার সেনারা। আল-হাদাত আরও জানিয়েছে, মোহাম্মদ সিনওয়ারের সঙ্গে তার আরও ১০ সঙ্গীর মরদেহ পাওয়া গেছে।
হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোটভাই ছিলেন মোহাম্মদ সিনওয়ার। গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝিতে গাজার রাফার তেল সুলতানে দখলদার ইসরাইলী সেনাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে প্রাণ হারান ইয়াহিয়া। তার মৃত্যুর পর মোহাম্মদ সিনওয়ার হামাসের নেতৃবৃন্দের শীর্ষস্থানে চলে আসেন। তিনি হামাসের সামরিক শাখা ছাড়াও গাজার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সৌদির সংবাদমাধ্যমটি গতকাল রোববার জানিয়েছে, গত সপ্তাহের হামলায় হামাসের রাফা ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ শাবানাও প্রাণ হারিয়েছেন।
দখলদার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ এক বৈঠকে জানিয়েছেন, তাদের বিশ্বাস মোহাম্মদ সিনওয়ার গত সপ্তাহে নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, “মোহাম্মদ সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। কিন্তু সবকিছু নির্দেশ দিচ্ছে তিনি নিহত হয়েছেন।” দীর্ঘদিন হামাসের সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন মোহাম্মদ দেইফ। গত বছরের জুলাইয়ে দেইফ নিহত হওয়ার পর প্রথমে সামরিক শাখার দায়িত্ব পান মোহাম্মদ সিনওয়ার। এরপর তার ভাই ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর তিনি পুরো গাজার দায়িত্ব পান। দখলদার ইসরাইলের কর্মকর্তাদের দাবি, মোহাম্মদ সিনওয়ারের কারণে জিম্মিচুক্তি ও যুদ্ধবিরতি আটকে ছিল।
মোহাম্মদ সিনওয়ার ১৯৯০ সালের দিকে ইসরাইলী কারাগারে ৯ মাস বন্দি ছিলেন। এরপর রামাল্লাহতে ফিলিস্তিনী অথরিটির কারাগারে তাকে আরও তিন বছর আটকে রাখা হয়। ২০০০ সালে তিনি ওই কারাগার থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন। ২০০৬ সালে ইসরাইলী সেনা গিলাদ শালিতকে ধরে আনেন হামাসের যোদ্ধারা। এতে মোহাম্মদ সিনওয়ার জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এরপর গাজায় বর্বর হামলা শুরু করে ইসরাইল। তাদের হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ অনেক নেতা নিহত হয়েছেন।