নতুন বিশেষ ভিসা চালু চীনের

তরুণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের জন্য নতুন ভিসা চালু করতে যাচ্ছে চীন। মূলত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে চীন সরকার এই উদ্যোগ নিচ্ছে। ‘কে ভিসা’ নামে এই বিশেষ ভিসাটি আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।চীনের স্টেট কাউন্সিল গত বৃহস্পতিবার নতুন ভিসার ঘোষণা দিয়েছে। এই ভিসার মূল উদ্দেশ্য হলো- বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতের মেধাবী তরুণদের আকর্ষিত করা। ‘কে-টাইপ’ ভিসার জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই দেশি বা বিদেশি কোনও খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হতে হবে, অথবা ওইসব প্রতিষ্ঠানে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।এর মাধ্যমে চীন নিশ্চিত করতে চায় যে, শুধুমাত্র যোগ্য এবং উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিরাই এই বিশেষ সুবিধা পাবেন।নতুন এ ভিসার অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এর সহজ আবেদন প্রক্রিয়া। অন্যান্য সাধারণ ভিসার মতো এর জন্য কোনও চীনা নিয়োগকর্তা বা অফারকারী সংস্থার প্রয়োজন হবে না। এছাড়াও এই বিশেষ ভিসাধারীরা একাধিকবার চীনে প্রবেশ করতে পারবেন, এবং ভিসার মেয়াদ ও অবস্থানের সময়সীমাও সাধারণ ভিসার চেয়ে অনেক বেশি সুবিধাজনক হবে।যদিও বয়সের নির্দিষ্ট সীমা এখনও জানানো হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি ৪০ থেকে ৪৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এই পদক্ষেপকে ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রযুক্তি পরাশক্তি হওয়ার চীনের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

আর্জেন্টিনায় দূষিত ফেন্টানিলে শতাধিকের উপরে মৃত্যু

আর্জেন্টিনায় হাসপাতালগুলোতে দেওয়া ব্যাকটেরিয়া-সংক্রমিত ফেন্টানিলের কারণে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার ঘটনার জন্য স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এইচএলবি ফার্মা গ্রুপ ও এর মালিক অ্যারিয়েল ফুরফারো গার্সিয়াকে দায়ী করেছে।গত মে মাস থেকে আর্জেন্টিনার চারটি প্রদেশ ও রাজধানী বুয়েনস আইরেসের একাধিক হাসপাতালে এই দূষিত ওষুধ ব্যবহারের ফলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলির মুখপাত্র জানান, এই ওষুধের একটি ব্যাচই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী।সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, তদন্তে জানা গেছেÍপ্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটার তিন মাস আগে আর্জেন্টিনার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এএনএমএটি ওই ল্যাব বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফুরফারো গার্সিয়া নিজের দায় অস্বীকার করে বলেছেন, তার এক সাবেক সহকর্মী গণমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়েছেন।দুই সপ্তাহ আগে বুয়েনস আইরেসের দক্ষিণে লা প্লাতা শহরের একটি হাসপাতালের বাইরে নিহতদের স্বজনেরা প্রতিবাদ করেন এবং “ফেন্টানিল ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার” দাবি জানান।

ফ্রি মিল খেয়ে ৩৬৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ

ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের স্রাগেন শহরে বিনামূল্যে বিতরণ করা খাবার খেয়ে অন্তত ৩৬৫ জন স্কুলের শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দেশটির কর্মকর্তারা জানান, এটি প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো-এর ‘বিনামূল্যে খাবার কর্মসূচি’ বা ‘ফ্রি মিল’-এর আওতায় সবচেয়ে বড় খাদ্য বিষক্রিয়ার ঘটনা।কর্মসূচিটি তদারকি করা জাতীয় পুষ্টি সংস্থার প্রধান দাদান হিন্দায়ানা জানান, পূর্ববর্তী ঘটনার পর রান্নাঘর পরিচালনা ও সরবরাহ ব্যবস্থার মান উন্নত করা হয়েছে। অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ওই রান্নাঘর থেকে সাময়িকভাবে খাবার সরবরাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। যতক্ষণ না ল্যাবের প্রতিবেদন আসে।”মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানান, রাতের বেলা তীব্র পেটব্যথায় ঘুম ভেঙে যায়। এরপর মাথাব্যথা ও ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন। সহপাঠীদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে তিনি বুঝতে পারেন, খাবার থেকেই বিষক্রিয়া হয়েছে। রয়টার্স

নেতানিয়াহুর মাথায় হাত!

মোসাদের গোপন নেটওয়ার্ক দীর্ঘদিন ধরে ইরানে সক্রিয় রয়েছে বলে ইরান দাবি করে আসছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ মূলত গোপন তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ইরানের ভেতরে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। ইরানের ধারণা, এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই ইসরায়েল সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় হামলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে। ১৩ জুন, ইসরায়েল যখন ইরানে সরাসরি বিমান হামলা শুরু করে, তখন স্পষ্ট হয় যে দেশের ভেতরে আগে থেকেই সক্রিয় ছিল এই সহায়তাকারী শক্তি। তবে এবার মোসাদের এসব গোয়েন্দা বাহিনী আর রক্ষা পায়নি।যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই ইরান জুড়ে ব্যাপক গ্রেপ্তারি অভিযান চালানো হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সন্দেহভাজনদের মধ্যে মোসাদের হয়ে কাজ করা এজেন্টরাও রয়েছে। ১২ দিনের মধ্যে প্রায় ২১,০০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই সন্দেহভাজন চর বা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।আটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ অবৈধ অভিবাসী, বিশেষ করে আফগান নাগরিক। ইরানের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২,৭৭৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২৬১ জনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে চর বৃত্তির অভিযোগ রয়েছে। ইন্টারনেট