জিও নিউজ : করাচিতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানায়, ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মাধ্যমে ’র’ পরিচালিত একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল উদ্ঘাটিত হয়েছে। পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্টর অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আজাদ খান জানান, গত ৮ জুলাই বাদিন এলাকায় ৪৫ বছর বয়সি নরসুন্দর আব্দুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আরও বড় নেটওয়ার্কের সন্ধান মেলে। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক র’র হ্যান্ডলার সঞ্জয় সঞ্জীব কুমার ওরফে ‘ফৌজি’ পুরো অপারেশন পরিচালনা করেন। তিনি পাকিস্তানি নাগরিক সালমানের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাঠান এবং হায়দরাবাদে এসে আটক আসামিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা মাটলিতে পাঁচদিন ধরে নজরদারির পর ১৮ মে আব্দুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে। আজাদ খান জানান, ভারতের গণমাধ্যম এই হত্যাকাণ্ডকে প্রচার করেছে, যা র’র সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। তদন্তে ব্যাংক লেনদেন ও অর্থের উৎস থেকে সন্ত্রাসে অর্থায়নের প্রমাণও মিলেছে। এ নিয়ে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের নাম আমির আসগর, সাজাদ, উবায়েদ, শাকিল, আরসালান ও তালহা উমায়ের। তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, মোবাইল ফোন এবং মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। সিটিডি কর্মকর্তা আরও জানান, র পাকিস্তানের একটি নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করেছে। তিনি একে ‘রাষ্ট্র পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যা দেন এবং বলেন, পাকিস্তান এই ইস্যু আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে উত্থাপন করবে। তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি, ভ্রমণ ইতিহাস, ব্যাংক লেনদেন ও পুনরুদ্ধারকৃত তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও গ্রেফতার হতে পারে।
এশিয়া
করাচিতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নেটওয়ার্ক ধ্বংস ॥ ছয়জন আটক
করাচিতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানায়
Printed Edition
