ফক্স নিউজ, আল-জাজিরা, বিবিসি : ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরাইল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে সম্মত হওয়ার পর গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। তবে অনেকেই নিহত স্বজনদের কথা মনে করে কাঁদছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। এরপরই গাজায় তৈরি হয় অন্যরকম এক পরিস্থিতি। মানুষ উচ্ছ্বাস শুরু করেন। অনেকে নিহতদের স্মরণ করে কাঁদতে থাকেন।
সংবাদমাধ্যমকে ৩৮ বছর বয়সী উম হাসান বলেছেন, “সাধারণত আমরা বোমার শব্দ, ধ্বংস, রকেট এবং খারাপ সংবাদ নিয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠি। কিন্তু আজ আমরা ভালো সংবাদে জেগে উঠেছি।”
“আনন্দে ছোট বড় সবাই চিৎকার শুরু করে। কিন্তু যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের মনে পড়তে থাকে স্বজনদের কথা। আমরা যারা স্বজন হারিয়েছি, ভাবছি কীভাবে তাদের ছাড়া বাড়ি ফিরে যাব।”
নিজের ছেলের কথা স্মরণ করে উম হাসান বলেন, “আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি। তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। আজ সকালে যখন আমরা যুদ্ধবিরতির খবর জানতে পারলাম, এটি একইসঙ্গে আমাদের জন্য সুখ ও দুঃখ নিয়ে এসেছে। যারা স্বজন হারিয়েছে তারা প্রত্যেকেই অত্যন্ত ব্যথিত। তারা ভাবছেন কীভাবে এই স্বজনদের ছাড়া তারা বাড়ি ফিরে যাবে।”
এদিকে আজ ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতিটির অনুমোদন দেওয়া হবে। এরপর এটি কার্যকর হবে। যদিও বলা হচ্ছিল দুপুর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়ে গেছে। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে স্পষ্ট করা হয়, মন্ত্রিসভার ভোটাভুটির পরই যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।
এখন কী ঘটবে?
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের মুক্তির লক্ষ্যে ইসরাইল ও হামাস প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির প্রথম ধাপে রাজি হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা যুদ্ধের অবসানে গত সপ্তাহে ট্রাম্পের প্রকাশিত ২০ দফা শান্তি চুক্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বুধবার রাতে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ইসরাইল, হামাসের পাশাপাশি বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই শান্তি চুক্তির এই পরিকল্পনায় স্বাগত জানিয়েছে। গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ আহত ও গাজা উপত্যকাকে প্রায় মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া ইসরাইলি এই যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের একটি কমিশন গণহত্যার শামিল বলে অভিহিত করেছে।
কী ঘটেছে বুধবার?
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরাইল ও হামাস তার গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে রাজি হয়েছে। নিজের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সব বন্দিকে ‘‘খুব শিগগিরই’’ মুক্তি দেওয়া হবে এবং চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইল তাদের সেনা নির্ধারিত সীমারেখায় প্রত্যাহার করে নেবে।
এই ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, শান্তি পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি চলতি সপ্তাহের মাঝেই মধ্যপ্রাচ্য সফরের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পরপরই প্রথমবারের মতো ওই ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি এই পরিকল্পনাকে গাজা যুদ্ধ অবসানের রূপরেখা হিসেবে উপস্থাপন করেন।
বুধবার হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও যখন ট্রাম্পের হাতে একটি চিঠি হস্তান্তর করেন, তখন এই চুক্তির সম্ভাবনা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। চিঠিটি পড়ে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি বার্তা দিয়েছেন, যেখানে বলা হয়েছে, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি এবং খুব শিগগিরই আমাকে তাদের প্রয়োজন পড়বে।’’
অনুষ্ঠানটি শেষ করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমাকে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করার জন্য এখন যেতে হবে।’’ হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, সেই চিঠিতে প্রেসিডেন্টকে ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দেওয়ার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল, যাতে তিনিই প্রথম এই চুক্তির ঘোষণা দিতে পারেন।
ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন,
# ইসরাইল ও হামাস উভয়ই শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে স্বাক্ষর করেছে
# সব জিম্মিকে খুব শিগগির মুক্তি দেওয়া হবে
# ইসরাইল তাদের সৈন্যদের নির্ধারিত সীমারেখায় প্রত্যাহার করবে
# এটি হবে স্থায়ী ও দৃঢ় শান্তির পথে প্রথম পদক্ষেপ
# সব পক্ষকে ন্যায়সঙ্গতভাবে আচরণ করতে হবে
কাতার, মিসর ও তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এই ঘোষণা গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ট্রাম্পের আট মাসের প্রচেষ্টার মধ্যে সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনী প্রচারণার সময় গাজা যুদ্ধের অবসানকে পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
চুক্তিতে এখনও কী কী অনিশ্চিত?
ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই চুক্তি যুদ্ধ অবসানের আশা জাগালেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেছে। কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, ‘‘ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে এখনও কিছু গুরুতর মতপার্থক্য রয়েছে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে, ইসরাইলের সৈন্য প্রত্যাহারের সময় ও পরিসর, যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা প্রশাসনের কাঠামো এবং হামাসের ভবিষ্যৎ।
তিনি বলেন, আপনি বলতে পারেন, প্রথম ধাপের প্রাথমিক অংশটি কার্যকর হচ্ছে। তার মতে, উভয় পক্ষই বন্দি-বিনিময়ের বিষয়ে কিছু মৌলিক কাঠামোতে একমত হয়েছে।
‘‘(ট্রাম্পের) পরিকল্পনা অনুযায়ী, হামাস জিম্মিদের হস্তান্তর করার পর যুদ্ধ শেষ হওয়ার কথা। তবে ইসরাইল বলছে, হামাস নিরস্ত্র হলেই কেবল যুদ্ধ শেষ হবে।
জিম্মিদের মুক্তি কখন?
বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের সিন হ্যানিটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, জিম্মিদের সোমবারের মধ্যেই মুক্তি দেওয়া হতে পারে। এমনকি যাদের মরদেহ রয়েছে, তাদেরও ফেরত দেওয়া হবে।
হামাসের একটি সূত্র বলেছে, ইসরাইলি সরকারের চুক্তিতে অনুমোদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। আর ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলেছেন, এই প্রক্রিয়া শনিবার থেকেই শুরু হতে পারে।
ট্রাম্প বলেছেন, পুরো শান্তি প্রক্রিয়ায় ইরানও অংশ নেবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
গাজায় হামাসের হাতে এখনও অন্তত ২০ জন ইসরাইলি জিম্মি জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার সময় প্রায় ২৫০ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে। হামাসের অতর্কিত সেই হামলায় ইসরাইলে ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন।
# ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া কী?
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘‘ইসরাইলের জন্য এটি এক মহান দিন।’’ বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমাদের জিম্মিদের মুক্ত করার এই পবিত্র মিশনে নিযুক্ত থাকার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার দলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
‘‘সৃষ্টিকর্তার সহায়তায়, আমরা একসঙ্গে আমাদের সব লক্ষ্য অর্জন করব এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি আরও জোরদার করব।’’
হামাস কী বলছে?
হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই চুক্তিতে গাজা যুদ্ধের অবসান, দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহার, ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি এবং বন্দী বিনিময়ের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠন চুক্তিতে মধ্যস্থতার জন্য কাতার, মিসর, তুরস্ক ও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পক্ষকে দখলদার ইসরাইলি সরকারকে চুক্তির সব শর্তের পূর্ণ বাস্তবায়নে বাধ্য এবং কোনোভাবেই যেন তা এড়িয়ে যেতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
‘‘আমরা গাজা উপত্যকা, জেরুসালেম ও পশ্চিম তীরের আমাদের মহৎ জনগণকে স্যালুট জানাই, যারা অতুলনীয় গৌরব, বীরত্ব ও মর্যাদার পরিচয় দিয়েছেন। এই বিশাল ত্যাগ ও অবস্থানই ইসরাইলি দখলদারদের দমন ও উচ্ছেদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছে।’’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের জাতীয় অধিকার—স্বাধীনতা, মুক্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবির বিষয়ে কখনোই আপস করবে না হামাস।
গাজার বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া কী?
গাজা উপত্যকা থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা, বিশেষ করে গাজার জনগণ এই চুক্তির খবরে উল্লাসের পাশাপাশি সতর্কতার সঙ্গে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ থেকে তিনি বলেন, দুই বছরের ধ্বংসযজ্ঞ, বাস্তুচ্যুতি ও ভঙ্গুর প্রতিশ্রুতির পর যুদ্ধবিরতির খবর শুনে অনেক পরিবার উল্লাসে ফেটে পড়েছে।
‘‘মানুষ মরিয়া হয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে পুনর্মিলনের অপেক্ষায় আছে। এমনকি যাদের হারিয়েছে তাদের জন্য শোক প্রকাশের সময়টুকুও চায় তারা। তবে এখনও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি এবং ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।’’
কী বলছেন বিশ্বনেতারা?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, নেতা ও সংগঠন গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে হামাস-ইসরাইলের স্বাক্ষরের ঘটনায় স্বাগত জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘‘আমি এই অতি-প্রয়োজনীয় অগ্রগতির মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর ও তুরস্কের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি।’’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার চুক্তিতে পৌঁছানোর খবরে বলেছেন, ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ যেন কোনও ধরনের কাল বিলম্ব ছাড়াই পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘জিম্মিদের মুক্তি ও গাজার মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি তাদের কিছুটা স্বস্তি দেবে এবং স্থায়ী শান্তির পথ প্রশস্ত করবে।’’
নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স বলেছেন, এটি শান্তির পথে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। তবে হামাসকে সব জিম্মির মুক্তি এবং ইসরাইলকে নির্ধারিত সীমারেখায় সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে।
এরপর কী হবে?
নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি বৃহস্পতিবার ইসরাইলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই চুক্তি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করবেন। ভোটে অনুমোদন পাওয়ার পর ইসরাইলি সৈন্যদের প্রত্যাহার শুরু হবে। এর ৭২ ঘণ্টা পর হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক এইচএ হেলিয়ার আল-জাজিরাকে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি যাতে কার্যকর থাকে, সেই বিষয়ে ইসরাইলের ওপর চাপ কতটা অব্যাহত থাকবে, সেটিই এখন মূল বিষয়।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় ইসরাইলের গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিভিন্ন ধাপের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বিপরীতে যাওয়া এক সিদ্ধান্ত।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ট্রাম্প মিসর সফরে যাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। নেতানিয়াহুও তাকে ইসরাইলি সংসদে বক্তব্য দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সম্ভবত সফরে গিয়ে ইসরাইলি সংসদে বক্তব্য রাখবেন।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা প্রশাসন তদারকির জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘‘বোর্ড অব পিস’’ গঠন করা হবে। এই বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন ট্রাম্প নিজে এবং এর সদস্যদের মধ্যে থাকবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা; যার মধ্যে রয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও।