কঙ্গোতে পৃথক নৌ দুর্ঘটনায় নিহত ১৯৩

কঙ্গোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ দুটি নৌদুর্ঘটনায় অন্তত ১৯৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির একুয়াটর প্রদেশে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার, প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে আলাদা দুটি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ডিআরসির মানবিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লুকোলেলা এলাকায় কঙ্গো নদীতে যাত্রীবোঝাই একটি বড় নৌকা (হোয়েলবোট) আগুন ধরে যায় এবং পরে ডুবে যায়। নৌকাটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় নিহত হন ১০৭ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনার পর ২০৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৪৬ জন। এর আগের দিন বুধবার, একুয়াটর প্রদেশের বাসানকুসু এলাকায় একটি মোটরচালিত নৌকা ডুবে যায়। এতে কমপক্ষে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। আল জাজিরা

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশী সিনেমা ও টিভি সিরিজ দেখার অপরাধে দেয়া হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড

উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দমন-পীড়নের মাত্রা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। বিশেষ করে বিদেশি সিনেমা বা টিভি সিরিজ দেখা কিংবা তা ছড়িয়ে দেওয়ার মতো অপরাধে এখন আরও বেশি মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে বলে জাতিসংঘের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতরের প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, একনায়কতান্ত্রিক ও বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন দেশটি তার নাগরিকদের স্বাধীনতা কঠোরভাবে দমন করছে এবং জোরপূর্বক শ্রমে নিযুক্ত করছে। গত এক দশকে উত্তর কোরিয়া জনগণের জীবনের প্রতিটি দিক আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আধুনিক বিশ্বে আর কোনো জনগোষ্ঠীর ওপর এত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশটি নজরদারি বাড়িয়েছে। জনগণের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার এই কৌশল আরও নিখুঁত ও কঠোর হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এ প্রসঙ্গে বলেন, যদি এই পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তাহলে উত্তর কোরিয়ার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে যেসব দমন-পীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তা আরও বাড়বে।

গত ১০ বছরে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ৩০০ জনের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি এই প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০১৫ সালের পর দেশটিতে অন্তত ছয়টি নতুন আইন চালু হয়েছে, যেগুলোর আওতায় বিভিন্ন নতুন অপরাধে মৃত্যুদণ্ড প্রযোজ্য করা হয়েছে। বিবিসি নিউজ, এএফপির

শোভাযাত্রায় ঢুকে পড়ল ট্রাক

ভারতের কর্ণাটকের হাসান জেলায় গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে নয় জন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় এখনো প্রায় ১৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দক্ষিণ রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরালিঙ্গাইয়া বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং তিনজন চিকমাগালুরু, বেল্লারি ও চিত্রদুর্গা জেলার ছাত্র। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হাসান থেকে হোলেনারাসিপুরের দিকে যাওয়া ট্রাকটি প্রথমে একটি মোটরসাইকেল ও একটি ব্যারিকেডে ধাক্কা মারে, এরপর মোসালে হোসাহাল্লি গ্রামের কাছে ন্যাশনাল হাইওয়ে ৩৭৩– এ শোভাযাত্রায় ঢুকে পড়ে। বরালিঙ্গাইয়া বলেন, ‘ক্যান্টার ট্রাকটি প্রথমে একটি মোটরসাইকেল ও ব্যারিকেডে ধাক্কা মেরে পরে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে।। টাইমস অব ইন্ডিয়া

যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিং মেশিন নিয়ে দ্বন্দ্বে নির্মম হত্যার শিকার এক ভারতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন চন্দ্র (বামে) নামে এক ভারতীয়। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে একটি মোটেলে ওয়াশিং মেশিনের দ্বন্দ্ব নিয়ে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন এক ভারতীয়। তিনি মোটেলের ম্যানেজার ছিলেন। সেখানে কিউবার এক অভিবাসী তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেছে। ওই ভারতীয়র নাম চন্দ্র নাগামাল্লাইয়াহ। তিনি কর্ণাটকের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি তার মোটেলের কর্মচারি কিউবার অভিবাসী ইয়োরদানিস কোবোস-মার্টিনেজকে একটি ভাঙা ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন।চন্দ্র নাগামাল্লাইয়াহ অপর এক কর্মচারীকে তার কথা অনুবাদ করে কোবোস-মার্টিনেজকে বলতে বলেন। এতে কোবোস ক্ষিপ্ত হন। এরপর তিনি একটি চাপাতি নিয়ে ৫০ বছর বয়সী চন্দ্রকে বেশ কয়েকটি কোপ দেন। ওই সময় বাঁচতে তিনি মোটেলের সামনের দিকে দৌড় দেন। তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী ও ১৮ বছর বয়সী ছেলে এগিয়ে আসলে তাদের ধাক্কা মারেন কোবোস। এরপর তাকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করে এ পাষণ্ড। এছাড়া তার কাটা মাথায় লাথিও মারেন তিনি। এনডিটিভি