কিয়োডো, রয়টার্স : চীন-জাপানের চলমান বিরোধে এবার দৃশ্যপটে হাজির হলো হংকং। চীনের এই বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের নেতা গতকাল সোমবার বেইজিংয়ের অবস্থানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। হংকংয়ের নেতা জন লি বলেছেন, জাপান বিষয়ে চীনের কূটনৈতিক অবস্থানকে তার সরকার সমর্থন করে। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে তারা উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। চীন ও জাপানের মধ্যে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান উত্তেজনায় হংকংয়ের তরফ থেকে এই প্রথম প্রকাশ্যে মন্তব্য করা হলো। হংকং হচ্ছে চীনের বিশেষায়িত একটি অঞ্চল। এখানে বেইজিংয়ের তরফ থেকে ‘এক চীন নীতি’ কার্যকর রয়েছে, যার ফলে অঞ্চলটি পর্যাপ্ত স্বায়ত্বশাসন ভোগ করলেও তারা স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না। তবে বেইজিংয়ের আধিপত্য নিয়ে সেখানে মাঝেমধ্যেই আন্দোলন দেখা দেয়।

বেইজিংয়ের সঙ্গে টোকিওর চলমান বিতর্কের শুরু ৭ নভেম্বর, যখন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি পার্লামেন্টে বলেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের কোনও সামরিক পদক্ষেপ জাপানের জন্য ‘টিকে থাকার হুমকি পরিস্থিতি’ তৈরি করতে পারে। উল্লেখ্য, তাকাইচি যে ধরনের সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা বলেন, জাপানের সংবিধান অনুযায়ী ওই ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর মোতায়েনের অধিকার রাখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ, তিনি প্রকারান্তরে প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেন মনে করে ক্ষুব্ধ হয় চীন।

তাকাইচির মন্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে জন লি বলেন, এই ধরনের গুরুতর কথা চীন-জাপান বাণিজ্যের পরিবেশকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এতে অনেক সম্পর্কের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এদিকে, রবিবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্যে এমন ভুল বার্তা দেওয়া “অত্যন্ত স্তম্ভিত করার মতো”, কারণ চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করে। অবশ্য গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ান বেইজিংয়ের এই দাবি অস্বীকার করে আসছে।