আল জাজিরা,রয়টার্স : গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির সর্বশেষ প্রস্তাব ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে হামাস। গত শুক্রবার প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় এ দাবি করেন গোষ্ঠীটির কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা। প্রায় ২০ মিনিটের ওই ভিডিওতে ওবেইদা দাবি করেন, সব জিম্মিকে একযোগে মুক্তির বিনিময়ে সামগ্রিক একটি চুক্তির প্রস্তাব করেছিল হামাস। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার চরম ডানপন্থি মন্ত্রীরা তা বানচাল করে দেন। তিনি আরও বলেন, এটা এখন স্পষ্ট যে, জিম্মিদের নিয়ে নেতানিয়াহু সরকারের কোনও মাথাব্যাথাই নেই। তবে যুদ্ধাবসানের নিশ্চয়তা, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা সম্বলিত একটি চুক্তির পক্ষে এখনও রয়েছে হামাস।

হামাস দীর্ঘ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত আছে বলে হুঁশিয়ার করে ওবেইদা বলেন, গাজা অনুপ্রবেশকারী ইসরায়েলি সেনাদের হত্যা বা জিম্মি করা চালিয়ে যেতে তারা চোরাগোপ্তা হামলা বহাল রাখবে। মার্কিন সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে সম্প্রতি কয়েক দফা আলোচনা চালিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। দোহায় আয়োজিত এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে কাতার। আলোচনার চলমান দফা ব্যর্থ হলে কোনও আংশিক চুক্তিতে হামাস সম্মত হবে না বলেও জানিয়েছেন ওবেইদা।

গাজায় এখনও প্রায় অর্ধশত জিম্মি হামাসের বন্দিদশায় রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, তাদের মধ্যে ২০ জনের মতো জীবিত আছেন। সর্বশেষ প্রস্তাবের একটি শর্ত অনুযায়ী, ১০ জন বন্দির বিনিময়ে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, শিগগিরই গাজা থেকে ১০ জন বন্দি ফিরে আসবেন। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজে আইনপ্রণেতাদের নিয়ে আয়োজিত এক নৈশভোজে তিনি বলেন, বেশিরভাগ জিম্মিকেই আমরা ফিরে পেয়েছি। শিগগিরই আমরা আরও ১০ জনকে পেতে যাচ্ছি। গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিমুক্তি চুক্তি সম্পাদনের দোরগোড়ায় বলে বহুদিন ধরেই দাবি করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি চোখে পড়েনি।