মৃত ভোটারের সঙ্গে চা খেলেন রাহুল গান্ধী
বিহারের রাঘোপুর থেকে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ—জীবিত মানুষকে ‘মৃত’ দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বুধবার দিল্লিতে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এই তালিকাভুক্ত ‘মৃত’ সাত ভোটারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁদের সঙ্গে চা পান করেন।রাহুল গান্ধী এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন— “আমার জীবনে বহু অভিজ্ঞতা হয়েছেৃ কিন্তু ‘মৃত’ মানুষের সঙ্গে চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। এই অনন্য অভিজ্ঞতার জন্য ধন্যবাদ নির্বাচন কমিশনকে!”চার মিনিটের এক ভিডিওতেও দেখা যায়, কীভাবে এই ‘মৃত’ ভোটাররা নিজেরা জীবিত থাকার প্রমাণ দিচ্ছেন। তাঁদের একজন বলেন, ভোটার তালিকার ‘স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’-এর খসড়া প্রকাশের পরই জানতে পারেন তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্য এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর পঞ্চায়েতে অন্তত ৫০ জন জীবিত মানুষের নাম ‘মৃত’ বলে কেটে দেওয়া হয়েছে।এই সাতজন হলেন রামিকবাল রায়, হরেন্দ্র রায়, লালমুনি দেবী, বাচিয়া দেবী, লালওয়াতি দেবী, পুনম কুমারী ও মুন্না কুমার; সকলেই রাঘোপুরের বাসিন্দা। তাদের অভিযোগ, রি-ভেরিফিকেশনের জন্য কাগজপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এনডিটিভি
বিনিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত করছে ভারত
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত একচেটিয়া আধিপত্যের পর এবার পারমাণবিক শক্তি খাতে বেসরকারি সংস্থার প্রবেশাধিকার দিতে চলেছে ভারত। বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ইউরেনিয়াম আহরণ, আমদানি ও প্রক্রিয়াকরণের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন।সরকারের লক্ষ্য, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১২ গুণ বাড়ানো। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওই সময়ে ভারতের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ৫ শতাংশ পারমাণবিক শক্তি থেকে আসবে। এর পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও সীমিত অংশীদারিত্বের সুযোগ দেওয়া হবে বিদ্যুৎ প্রকল্পে।এখন পর্যন্ত কৌশলগত নিরাপত্তা ও বিকিরণ ঝুঁকির কারণে ইউরেনিয়াম খনন, আমদানি ও প্রক্রিয়াকরণের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল সরকারের হাতে। তবে ব্যবহৃত জ্বালানির পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ ও প্লুটোনিয়াম বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে, যা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত নিয়ম।সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রায় ৭৬০০০ টন ইউরেনিয়াম মজুদ রয়েছে, যা দিয়ে প্রায় ৩০ বছর ১০ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। কিন্তু আসন্ন চাহিদা বৃদ্ধির মাত্র ২৫ শতাংশ দেশীয় উৎস থেকে মেটানো যাবে, বাকিটা আমদানি করতে হবে। এজন্য প্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে খনি, বিদ্যুৎ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ সংক্রান্ত অন্তত পাঁচটি আইন পরিবর্তন করতে হবে বলে সূত্রের দাবি। ডন
ছবি-ইমেল মুছে ফেলার আহ্বান ব্রিটেন সরকারের
ব্রিটেনে চলমান তীব্র পানি সংকট মোকাবিলায় এক অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। দেশবাসীকে পুরনো ছবি ও ইমেল মুছে ফেলতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এর কারণ ডেটা সেন্টার। ক্লাউডে ছবি ও ইমেল সংরক্ষণ করতে বিপুল বিদ্যুৎ ও পানি লাগে। সার্ভার ঠান্ডা রাখতে ডেটা সেন্টারগুলো বছরে কোটি লিটার পানি ব্যবহার করে যা অনেক সময় স্থানীয় সরবরাহ থেকে সংগ্রহ করা হয়।একটি ছোট ডেটা সেন্টারও বছরে প্রায় ২.৬ কোটি লিটার পানি ব্যবহার করে। ইউরোপ জুড়ে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী; ১৯৭৬ সালের পর ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাস ব্রিটেনের সবচেয়ে শুষ্ক সময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমানে দেশের জলাধারগুলো মাত্র ৬৭.৭% পূর্ণ, যেখানে আগস্টে সাধারণত ৮০.৫% থাকে।ইয়র্কশায়ার, কামব্রিয়া, ল্যাঙ্কাশায়ারসহ পাঁচটি অঞ্চল আনুষ্ঠানিকভাবে খরার কবলে। ইতিমধ্যে হোসপাইপ নিষিদ্ধ করা ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপে পারিবারিক পানির ব্যবহার ১০% হ্রাস পেয়েছে।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছবি ও ইমেল মুছে ফেলে ঠিক কতটা পানি সাশ্রয় হবে তা স্পষ্ট নয়। বড় আকারের এআই প্রশিক্ষণ ও ডেটা সংরক্ষণে তুলনামূলকভাবে আরও বেশি পানি ও শক্তি ব্যবহৃত হয়। টেকস্পট।
দিল্লীতে আবর্জনার পাহাড়
ভারতের রাজধানী দিল্লীর গাজিপুর, ভলসওয়া ও ওখলা—এই তিনটি ল্যান্ডফিল সাইট এখন পরিণত হয়েছে ‘মরণফাঁদে’। গ্রীষ্মে এখানে তাপমাত্রা ওঠে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, বাতাসে মিশে থাকে মিথেনসহ নানা বিষাক্ত গ্যাস। বছরের পর বছর এসব স্থানে কাজ করে যাচ্ছেন হাজারো অনানুষ্ঠানিক ময়লা শ্রমিক, বর্জ্য সংগ্রাহক। নিয়মিয়তই ঝুঁকিতে যাদের জীবন ।নয়াদিল্লির গাজিপুর ল্যান্ডফিল, যা বর্তমানে প্রায় ৬৫ মিটার (২০ তলা সমান) উঁচু, দিল্লির বর্জ্য সংকট ও জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন ৩৮ বছর বয়সী সোফিয়া বেগম। ২০২২ সালে চিকিৎসা বর্জ্যের সংস্পর্শে এসে তার ডানচোখেসংক্রমণ হয়, গরমে তা ফুলে ওঠে। সার্জারির জন্য প্রয়োজন প্রায় ৩০ হাজার রুপি, যা জোগাড় করা তার পক্ষে অসম্ভব।৩২ বছরের তানজিলা গত বছর প্রচণ্ড রোদে অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর এখন মূলত রাতে কাজ করেন। তিনি জানান, দিনের বেলায় মনে হয় যেন "চুল্লির ভেতর" আছি। কিন্তু রাতেও বিপদ কম নয়—কারণ তখন ভারী যান ও মেশিন চলাচল করে, আগুন বা গ্যাস লিক স্পষ্টভাবে দেখা যায় না। আল জাজিরা