সিএনএন : পাকিস্তানে সেনা অভিযান শুরু করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, মঙ্গলবার মধ্য রাতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের এই অভিযান কতদূর পর্যন্ত যাবে— তা নির্ধারনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সৈয়দ আসিম মুনির। গত মঙ্গলবারের অভিযান শুরুর পর নিজ দেশের অভ্যন্তরে সেনাপ্রধানের ওপর চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার প্রধান কারণ পাকিস্তানের জনজীবনে সেনাবাহিনীর প্রভাব গভীর এবং সেনাপ্রধান হিসেবে আসিম মুনিরের নিয়োগ ছিল বিতর্কিত। গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসী পাকিস্তানিদের এক সভায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেছিলেন, কাশ্মির হলো পাকিস্তানের গলার ধমনী এবং কোনো পাকিস্তানি তা কখনও ভুলবে না। পাশাপাশি ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের প্রতি দৃঢ় সমর্থনও জানিয়েছিলেন তিনি।
তার এই বক্তব্য দেওয়ার ৫ দিনের মাথায়, এপ্রিল ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামে পর্যটকদের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা।
অস্ট্রেলিয়ার থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ম্যালকম ডেভিস সিএনএনকে বলেন, “আমার মনে, পাকিস্তান যদি এই হামলার পাল্টা প্রতিশোধ না নেয়— তাহলে পাকিস্তানের রাজনীতি, আমলাতন্ত্র এমনকি সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরেও আসিম মুনিরের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং প্রভাব ক্ষুণ্ন হবে।” সিএনএনের সামরিক বিশ্লেষক কেড্রিক লেইটন বলেন, “অতীতে পাকিস্তানের যেসব সামরিক জেনারেল সরাসরি রাজনীতিতে জড়িয়েছেন, মুনির তাদের মানসিকতা ধারণ করেন। তিনি মরেন করেন যে তিনি নিজ দেশের সম্মান রক্ষা করছেন, কিন্তু তার এই দেশপ্রেমে সাম্প্রদায়ীক চিন্তাভাবনা ব্যাপকভাবে সক্রিয়।”
সেদিকে নজর রাখতে হবে বিনিয়োগকারীদের। তবে বাজার আগে থেকেই জানে, এই হামরা হতে পারে। সে কারণেও তেমন একটা প্রভাব পড়বে না বলেই তিনি মনে করেন।
এ ছাড়া ভারতের শেয়ারবাজারে কয়েক দিন ধরে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। সেটাই বাজারের অতটা আক্রান্ত না হওয়ার কারণ হিসেবে মনে করেন বিজয়কুমার। গত ১৪ অধিবেশনে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৪৩ হাজার ৯৪০ কোটি রুপির শেয়ার কিনেছে। মূলত চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বলে বিনিয়োগকারীরা ভারতের দিকে ঝুঁকছেন। সে কারণে বাজার ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই নিজ অবস্থান ধরে রাখতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।