আল জাজিরা: কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। গতকাল মঙ্গলবার টেলিফোন কলে তারা কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে কথা বলেছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম বলেছেন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ইরানের প্রেসিডেন্টের কাছে আল উদেইদ ঘাঁটিতে ইরানের হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, টেলিফোনে আলাপকালে কাতারের আমির তার দেশ সবসময় সুসম্পর্ক ও ভালো প্রতিবেশীর নীতি অনুসরণ করে বলে ইরানের প্রেসিডেন্টকে জানান। এ সময় তিনি ইরানের কাছ থেকে এমন ‘‘শত্রুতাপূর্ণ আচরণ’’ প্রত্যাশা করেননি বলেও জানিয়ে দেন। কাতারের আমির সম্ভাব্য কূটনৈতিক ও আইনি প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনার কথা বলেন। তবে এই বিষয়টি যত দ্রুত সম্ভব নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং অতীতের বিষয় হিসেবে রেখে দিতে হবে বলে জোর দেন তিনি,’’ বলেন শেখ মোহাম্মদ। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বলেন, আঞ্চলিক এই উত্তেজনা মূলত গাজার ওপর ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন ও যুদ্ধংদেহী মনোভাবের পরিণতি। আর এটি যাতে পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই লক্ষ্যে কাতার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বকে এক হয়ে ইসরায়েলের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন কার্যকলাপের অবসান ঘটানোর সময় এসেছে এখন।
কাতারকে ধন্যবাদ ইরানের : ইরানের ইয়ং জার্নালিস্ট ক্লাব জানিয়েছে, দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাতারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ওই অঞ্চলে উত্তেজনা রোধে সহায়তা করার জন্য তিনি এই ধন্যবাদ জানান। এক ফোনালাপে, মাজিদ তখত-রাভানচি কাতারের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আল-খুলাইফিকে তার দেশের গঠনমূলক ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইরান ভালো প্রতিবেশীসুলভতা এবং সর্বোচ্চ স্বার্থের ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে এবং জোরদার করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইরান তার পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রতিশোধ হিসেবে কাতারের আল উদেইদে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায়, কাতার এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।