৬ ভারতীয় কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধজ্ঞা

ইরানি পেট্রোলিয়াম, পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য বা পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের নজরদারির আওতায় এসেছে ৬ ভারতীয় কোম্পানি। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ২০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে ছয়টি ভারতীয় কোম্পানি রয়েছে, যারা ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করছে। ইরানি সরকার এই রাজস্ব মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত উসকে দেওয়া,সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং নিজের জনগণকে দমন করার কাজে ব্যবহার করে।ইরানি সরকার এখনও মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত উসকে দিতে তহবিল জোগাড় করছে, যার মাধ্যমে তারা তাদের অস্থিতিশীল কার্যক্রম পরিচালনা করে। যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে যাতে ইরানি সরকার এইআয়ের মাধ্যমে বিদেশে সন্ত্রাসে সহায়তা এবং নিজের জনগণকে দমন করতে না পারে।” এনডিটিভি।

দাবদাহ ইউরোপের

নীরব ঘাতক

তীব্র তাপপ্রবাহ যখন ইউরোপজুড়ে তা-ব চালাচ্ছে, তখন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মাত্র ১২টি বড় শহরে এই তাপপ্রবাহে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৩০০ জনের।এই তথ্য এসেছে তাপপ্রবাহের এক সপ্তাহের মধ্যেই, যা সচরাচর দেখা যায় না। ব্রিটেনের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের জলবায়ু বিজ্ঞানী ড. ফ্রিডেরিকে অটো বলেন, এটা একটি সতর্ক সংকেত, যাতে আরও মৃত্যু এড়ানো যায়।গ্রীষ্মে ইউরোপে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারান তাপদাহে। কিন্তু তাপের এই ‘নীরব হত্যাকা-’ জনসচেতনতা তৈরি করতে পারে না। কারণ মৃত্যু ঘটে ধীরে ধীরে, এবং প্রমাণ করতে সময় লাগে অনেক।এবার বিজ্ঞানীরা একটি ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছেন। তারা শুধু তাপমাত্রার পরিবর্তন নয় বরং এর ফলে কতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন এতে কতা দায়ী, সেই প্রশ্নে আলোকপাত করেছেন। মানুষ ভাবে ৩০ ডিগ্রি হলে কী হবে, ২৭ তো হয়েই থাকে! কিন্তু আমাদের জানা আছে, এই সামান্য পার্থক্যই জীবন-মৃত্যুর ফারাক গড়ে দিতে পারে। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এবং লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকরা ২৩ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ১২টি ইউরোপীয় শহরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, এই তাপপ্রবাহে অতিরিক্ত ২৩০০ জন মানুষ মারা গেছেন, যার মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ মৃত্যু ঘটত না যদি মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন না থাকত।এখনো পর্যন্ত গবেষণাটি পিয়ার-রিভিউ অর্থাৎ পর্যালোচনার ধাপঅতিক্রম করেনি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, সময়মতো সতর্কতা পৌঁছানোই আসল উদ্দেশ্য। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলও এই মডেল অনুসরণ করে আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের গুজরাটে প্রথম হিট অ্যাকশন প্ল্যানে কাজ করা স্বাস্থ্য ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অভিয়ন্ত তিওয়ারি বলেন, এই ধরণের গবেষণা ভবিষ্যতে আরও বেশি হবে বলে আমি আশাবাদী।ইতিমধ্যে তুরস্ক, গ্রিস ও বুলগেরিয়ায় নতুন তাপপ্রবাহ এবং দাবানল দেখা দিয়েছে। স্পেন ও পর্তুগালে পৌঁছেছে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আমরা যদি গ্রীষ্ম শেষে এই গবেষণা প্রকাশ করতাম, তখন কেউ তাপপ্রবাহ নিয়ে ভাবত না। এএফপি।

এনার্জি ড্রিংকের

ক্যানে ভদকা

ভুলবশত এনার্জি ড্রিংকের ক্যানে ভদকা ভরে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের সেলসিয়াস ব্র্যান্ড। এ ঘটনায় সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (ইউএসএফডিএ)। ‘অ্যাস্ট্রো ভাইব ব্লু র্যাজ’ সংস্করণের ক্যানগুলোতেই ধরা পড়েছে এই ত্রুটি। প্যাকেজিং সরবরাহকারীর এক বড়সড় ভুলের কারণে এই মিশ্রণ ঘটেছে। আসলে, সেলসিয়াস ব্র্যান্ডের খালি ক্যান ভুল করে পাঠানো হয় ভদকা সেল্টজার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হাই নুন-এর কাছে। আর সেগুলোতে তারা তাদের অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় ভরে বাজারজাত করে দেয়। এর ফলে হাই নুন-এর কিছু ‘বিচ ভ্যারাইটি প্যাক’ও এখন প্রত্যাহারের আওতায় এসেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ভোক্তার অসুস্থতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি । বিবিসি।

বিলুপ্ত হওয়ার

২০ বছর পর

বিলুপ্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার ২০ বছর পর দেখা মিলেছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির সাপ বার্বাডোজ থ্রেড-এর। সম্প্রতি ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র বার্বাডোজের অরণ্যে সাপটির দেখা পেয়েছেন দুই জীববিজ্ঞানী কনর ব্লেডস এবং জাস্টিন স্প্রিঙ্গার।বার্বাডোজের পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক মন্ত্রণায়ের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে গত মার্চ থেকে দেশটির বনাঞ্চলে টিকে থাকা উদ্ভিদ ও প্রাণীর জরিপ করছেন তারা। কিছু দিন আগে বনের গাছের একটি শেকরের গায়ে আটকে থাকা পাথরের আড়ালে দেখা মিলেছে একটি বার্বাডোজ থ্রেড সাপের। একটি পূর্ণবয়স্ক বার্বাডোজ থ্রেড সাপের দৈর্ঘ্য ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার। ১৮৮৯ সালে প্রথম এই সাপের দেখা পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ প্রজাতির এই সাপের রঙ সাধারণত গাঢ় বাদামি ও ধূসর হয়। মাথার দু’পাশে থাকে চোখ, পিঠে থাকে কমলা রঙের ডোরাকাটা দাগ। নাকের কাছে লক্ষ্য করা যায় আঁশ।তবে চোখ থাকলেও দৃষ্টিশক্তি নেই সাপটির, অর্থাৎ জন্মান্ধ। এদের প্রজননের গতিও খুব ধীর, কারণ সঙ্গমের পরে মাত্র একটি ডিম পাড়ে স্ত্রী বার্বাডোস থ্রেড।২০০৪ সালে সর্বশেষ দেখা মিলেছিল বার্বাডোজ থ্রেড সাপের। তারপর এবার দেখা মিলল। এতদিন পর্যন্ত বিলুপ্ত প্রাণীদের তালিকায় ছিল সাপটি। ইন্টারনেট।