পাকিস্তানে সামরিক কনভয়ে গুলীবর্ষণে ১১ সেনা নিহত
আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুররম জেলায় একটি সামরিক কনভয়ে ভয়াবহ হামলায় অন্তত ১১ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নয়জন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য এবং দুইজন কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কনভয়টি চলার সময় প্রথমে সড়কের পাশে পেতে রাখা একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের পরপরই বহু সংখ্যক সশস্ত্র জঙ্গি সামরিক যানবহরের ওপর একযোগে গুলিবর্ষণ শুরু করে।
এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। রয়টার্সকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারাই ওই সামরিক কনভয়কে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
ঘটনার পর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর), তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। রয়টার্স
বদলে যাচ্ছে ইইউভুক্ত দেশে প্রবেশ পদ্ধতি
বদলে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশে এন্ট্রি ও এক্সিট পদ্ধতি। আগামী রোববার থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন বায়োমেট্রিক সীমান্ত পরীক্ষা। এর ফলে নন-ইইউ ভ্রমণকারী ও ব্রিটিশ পর্যটকরা যেভাবে ইইউ অঞ্চলে এন্ট্রি ও এক্সিট করতো, তা বদলে যাবে।
এন্ট্রি এবং এক্সিট সিস্টেম (ইইএস) অনুযায়ী, নন-ইইউ ভ্রমণকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন- আঙুলের ছাপ ও মুখের ছবি প্রথমবার ইইউভুক্ত (শেনজেন অঞ্চল) ২৯টি দেশে প্রবেশ করার সময় নিবন্ধন করতে হবে। ওই অঞ্চলে সব ইউরোপীয় দেশ অন্তর্ভুক্ত, শুধু আয়ারল্যান্ড ও সাইপ্রাস বাদে। এছাড়াও আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও লিশটেনস্টাইন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে ২৯টি ইউরোপীয় দেশে এবং শুধু নন-ইইউ ভ্রমণকারীদের জন্য। এই সিস্টেম পুরো ইউরোপে কার্যকর হবে ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে। এই সময়ে কিছু সীমান্ত চৌকিতে নতুন ব্যবস্থা এবং প্রচলিত পাসপোর্ট স্ট্যাম্পিংয়ের যৌথ ব্যবহার হতে পারে।
নতুন এই ইলেকট্রনিক সিস্টেমের মাধ্যমে ইইউ’র সীমান্তে হাতে হাতে পাসপোর্ট স্টাম্প করার প্রয়োজনীয়তা বাতিল হয়ে যাবে। এর পরিবর্তে ডিজিটাল রেকর্ড তৈরি হবে, যা বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে যাত্রীদের পরিচয় এবং তাদের ট্র্যাভেল ডকুমেন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
ইইউ চায় এর বাইরের সীমান্তের ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করা, অবৈধ অভিবাসন রোধ করা, পরিচয় জালিয়াতি প্রতিহত করা এবং যারা অনুমোদিত সময়ের চেয়ে বেশি অবস্থান করছে তাদের শনাক্ত করা।
শেনজেন অঞ্চলে প্রথমবার প্রবেশ করা যেকোনও যাত্রীকে তাদের পাসপোর্ট স্ক্যান করতে হবে, আঙুলের ছাপ নিবন্ধন করতে হবে এবং মুখের স্ক্যান দিতে হবে।
এক্সিটের সময় যাত্রীর তথ্য ইইএস (ঊঊঝ) ডাটাবেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় তারা নির্ধারিত অবস্থানের সময়সীমা মেনে চলেছে এবং এক্সিট রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী ভ্রমণে শুধুমাত্র মুখের বায়োমেট্রিক যাচাই করলেই হবে। রয়টার্স।
লাখ ডলারের স্কলারশিপ পেয়েও মার্কিন ভিসা বাতিল
২৭ বছর বয়সী ভারতীয় সাংবাদিক কৌশিক স্বপ্ন ছিল রাজের যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে ডেটা জার্নালিজমে মাস্টার্স করতে তিনি পেয়েছিলেন এক লাখ মার্কিন ডলারের স্কলারশিপ। তবে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরও যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তার শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভিসার সাক্ষাৎকারসহ প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছিলেন কৌশিক রাজ। তবু, নয়াদিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তার ভিসার আবেদন খারিজ করে।
রাজের ধারণা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু পোস্টের কারণেই তার ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। যদিও দূতাবাসের পাঠানো চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোনো নির্দিষ্ট বিষয় উল্লেখ করা হয়নি, সেখানে বলা হয়— জন্মস্থান ভারতের সঙ্গে যথেষ্ট সম্পর্ক রয়েছে, এমনটি প্রদর্শন করতে পারেননি রাজ, যা তাকে নির্দিষ্ট সময় পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ দেশে ফিরতে ‘বাধ্য করবে’।
তবে, কৌশিক রাজ ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নই। এমনকি গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে মতপ্রকাশ থেকেও নিজেকে বিরত রেখেছি।
তার মতে, চার বছরের সাংবাদিকতা জীবনে তিনি বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ নিয়ে কাজ করেছেন এবং সে সম্পর্কিত কিছু পোস্ট হয়তো মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
কৌশিকের কলাম্বিয়ায় সেমিস্টার শুরু হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের আগস্টে। কিন্তু তার কিছুদিন আগেই দূতাবাসের চিঠিতে জানানো হয়, তার আবেদন নাকচ করা হয়েছে। এনডিটিভি।