ইন্টারনেট : আজ থেকে ২৪ বছর আগে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের ভয়াবহতম সন্ত্রাসী হামলাগুলোর একটি। চারটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে আঘাত হানা হয় নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ও ওয়াশিংটনের পেন্টাগনে। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় তিন হাজার মানুষ। টুইন টাওয়ারে প্রথম বিমান আঘাত হানে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে, আর দ্বিতীয় বিমান আঘাত হানে সকাল ৯টা ৩ মিনিটে। অল্প সময়ের মধ্যে ভেঙে পড়েছিল ১১০ তলার দুই আকাশচুম্বী অট্টালিকা। তৃতীয় বিমান আঘাত হানে পেন্টাগনে, আর চতুর্থ বিমানটি বিধ্বস্ত হয় পেনসিলভেনিয়ার এক মাঠে। হামলায় নিহত হন মোট ২ হাজার ৯৭৭ জন। সবচেয়ে কমবয়সী নিহত ক্রিস্টিন লি হ্যানসনের বয়স ছিল মাত্র ২ বছর, আর সবচেয়ে প্রবীণ রবার্ট নর্টনের বয়স ছিল ৮২ বছর। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৭৭টি দেশের নাগরিক।
এই হামলার জন্য দায়ী করা হয়ে ছিলো ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন সংগঠন আল-কায়েদা। ১৯ জন ছিনতাইকারীর মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন সৌদি নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ পরবর্তীতে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করেন। এক দশক পর ২০১১ সালে পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন সেনারা। সম্প্রতি মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসন দাবি করেছেন, ৯/১১ হামলার আগে থেকেই বিষয়টি জানত ইসরাইলি গোয়েন্দারা। তিনি জানান, আসন্ন এক প্রামাণ্যচিত্র সিরিজে এ সংক্রান্ত নানা গোপন তথ্য তুলে ধরা হবে। হামলার ২৪ বছর পরও সেই ট্র্যাজেডির ক্ষত এখনো অমোচনীয়। নিউইয়র্কে হামলার স্থানে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিসৌধ ও ‘ফ্রিডম টাওয়ার’, যা এখন শহরের নতুন প্রতীক।