এশিয়া
সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারত ভণ্ডামি করছে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছেন সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর এ নিয়ে অসংখ্যবার অভিযোগ তুলেছে ভারত।
Printed Edition
৬ মার্চ, ইস্ট এশিয়া ফোরাম : বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছেন সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর এ নিয়ে অসংখ্যবার অভিযোগ তুলেছে ভারত। তবে তাদের নিজেদের দেশে মুসলিম সংখ্যালঘুরা যে সত্যিকার অর্থে নির্যাতিত হচ্ছে, এ বিষয়টি তারা এড়িয়ে যাচ্ছে বা ইচ্ছে করে চেপে রাখছে। মূলত সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে ভারত ‘ভণ্ডামি’ করছে।
নয়াদিল্লির সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিসার্চ স্কলার শাহাদাত স্বাধীন ইস্ট এশিয়া ফোরামে লিখেছেন, ২০২৪ সালের শেষ দিকে চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ‘দেশদ্রোহিতার’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে ওই সময় জামিন দেওয়া হয়নি। ওই সময় তার অনুসারীরা এক মুসলিম আইনজীবীকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ওই সময় সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা তৈরির শঙ্কা তৈরি হলেও বাংলাদেশ সরকার এটি নিয়ন্ত্রণ করতে সমর্থ হয়। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়াগুলো তখন ওই মুসলিম আইনজীবীর হত্যাকাণ্ডকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি চিন্ময়ের গ্রেপ্তারকে হিন্দু নির্যাতনের প্রমাণ হিসেবে দেখানোর প্রচেষ্টা চালায় তারা।
চিন্ময়ের জন্য ভারতের হিন্দু সংগঠনগুলো দিল্লি, কলকাতা এবং মুম্বাইয়ে বিক্ষোভ করে। এমনকি তারা আগরতলায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালায়। ভারতীয় রাজনীতিবিদরা এতে আরও উস্কানি দেয়। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে অবরোধ আরোপের দাবি জানাতে থাকে। শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট পালানোর পর হিন্দুদের ওপর কিছু হামলা হয়েছে, যদিও সেগুলো রাজনৈতিক ছিল না। কিন্তু ভারত এ নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও লিখেছেন, বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিন্দুদের ওপর ৩ হাজার ৬৭৯টি হামলা হয়েছে।