পাকিস্তানী সশস্ত্র বাহিনী ভারতের ‘মিথ্যা অহংকার’ ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে এবং বিশ্বকে উপলব্ধি করিয়েছে যে এই অঞ্চলের সকল রাষ্ট্র সমান। গত বৃহস্পতিবার এমনটাই মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানী সংবাদমাধ্যম। দ্য ডন, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
শাহবাজ শরিফ ভারতকে আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীরসহ বিতর্কিত বিষয়গুলো সমাধানের জন্য আলোচনার টেবিলে বাসার আহ্বান জানিয়েছেন।
কামরায় পিএএফ বিমানঘাঁটি পরিদর্শনকালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আপনারা কেবল বিশ্বের মানসিকতাই পরিবর্তন করেননি, বরং এই অঞ্চল এবং বিশ্বের সমীকরণও বদলে দিয়েছেন।’
এছাড়া পরিদর্শনকালে পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রী গত ৬ এবং ৭ মে রাতে ভারতে ষষ্ঠ বিমানটি ভূপাতিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিধ্বস্ত বিমানগুলোর মধ্যে তিনটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান, একটি সুখোই এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি মিরাজ ২০০০ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেছেন, ‘এটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর যুদ্ধ দক্ষতা এবং সশস্ত্র বাহিনীর অটল সংকল্পের প্রমাণ।’
মানববাহী বিমান ছাড়াও পাকিস্তানি বাহিনী মোট ৮৫টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে একটি ইসরাইলে-নির্মিত হেরন ইউএভি এবং ৮৪টি কোয়াডকপ্টার এবং নজরদারি ড্রোন রয়েছে।
এর আগে, পাকিস্তান সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) সিনিয়র অফিসার এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ ঘোষণা করেছেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনী ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে ৬-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে।
এভিএম আওরঙ্গজেব ভারতীয় আগ্রাসনের কার্যকর প্রতিক্রিয়ায় পিএএফের কর্মক্ষমতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘পিএএফ শান্তি ও যুদ্ধকালীন উভয় সময়েই পূর্ণ প্রস্তুতি বজায় রেখেছিল। আমরা বিমান বাহিনী প্রধানের নির্দেশ অনুসরণ করেছি এবং পাকিস্তানে আক্রমণকারীদের লক্ষ্য করে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছি। ‘
তিনি বিস্তারিতভাবে বলেন, ‘পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা অভিযানের অংশ হিসেবে আগত সব ভারতীয় ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাক করা হয়েছিল। পিএএফ সফলভাবে শত্রু ড্রোন জ্যাম করেছে, তাদের ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যাহত করেছে এবং ধ্বংসের কৌশল প্রয়োগ করেছে।’
পাকিস্তানের প্রশংসায় চীন
কাশ্মীরের পেহেলগাঁও ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে আধুনিক যুদ্ধপ্রযুক্তির শক্তি প্রদর্শন করায় পাকিস্তানের ভূয়সী প্রশংসা করেছে চীন। এই যুদ্ধে পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষায় এক নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে বলে মনে করছে চীন।
দেশটির সরকারি মহাকাশ সংস্থা সমর্থিত চায়না স্পেস নিউজ প্রকাশিত এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে পাকিস্তানের বুদ্ধিদীপ্ত ও নেটওয়ার্কভিত্তিক যুদ্ধ কৌশলের এই উচ্চ প্রশংসা করা হয়।
চায়না স্পেস নিউজ বলেছে, পাকিস্তান ‘এবিসি’ নামে যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন যে কৌশল ব্যবহার করেছে তাতে যুদ্ধ কৌশলের নতুন দিক উন্মোচন হয়েছে। কৌশল অনুযায়ী ‘এ’ লক্ষ্য ঠিক করে, ‘বি’ হামলা চালায় এবং ‘সি’ গাইড করে।
পাকিস্তানের বিমান বাহিনী গ্রাউন্ড রাডার, ফাইটার জেট এবং আকাশে নজরদারি চালানো ব্যবস্থার সমন্বয়ে ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি পাক সরকারের।