এশিয়া
গাজায় ইসরাইলের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ -হামাস
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার ইসরাইলের সিদ্ধান্তকে “সস্তা ও অগ্রহণযোগ্য ব্ল্যাকমেইল” বলে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনি সংগঠনটি। গত রোবববার গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণায় সাক্ষর করেন দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী ইলি কোহেন।
Printed Edition
১০ মার্চ, রয়টার্স : যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার ইসরাইলের সিদ্ধান্তকে “সস্তা ও অগ্রহণযোগ্য ব্ল্যাকমেইল” বলে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনি সংগঠনটি। গত রোবববার গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণায় সাক্ষর করেন দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী ইলি কোহেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশক বলেছেন, ‘গাজাকে খাদ্য, ওষুধ ও পানি থেকে বঞ্চিত করার পর এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই আমরা। এটি আমাদের জনগণ এবং তাদের প্রতিরোধ আন্দোলনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার এক হতাশাজনক প্রচেষ্টা এবং সস্তা ও অগ্রহণযোগ্য ব্ল্যাকমেইল কৌশল।’
এক ইসরাইলী কর্মকর্তা বলেছেন, এই পদক্ষেপ মূলত একটি লবণাক্ত পানি শোধনাগারকে প্রভাবিত করবে, যা গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে ইসরাইল থেকে পরিচালিত হচ্ছিল।
এই প্ল্যান্ট দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস, রাফাহসহ গাজার দক্ষিণের সব এলাকায় পানি সরবরাহ করে। প্ল্যান্টে কর্মরত এক প্রকৌশলীর মতে, এটি প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের জন্য পানি উৎপাদন করে।
ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ আগে এই প্ল্যান্টের জন্য একটি বিদ্যুৎ লাইন চালু রেখেছিল। কিন্তু তারা গতকাল সেই লাইন কেটে দেয়। তবুও প্ল্যান্টটি এখনো চালু রয়েছে। এটি স্পষ্ট যে সেখানে জ্বালানির মজুত আছে। কারণ জেনারেটরের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও প্ল্যান্টটিতে সোলার প্যানেল রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ লাইন ছাড়া এটি আগের মতো পানি উৎপাদন করতে পারছে না।
ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা আগের মতো সহজে পানি পাচ্ছেন না।
এই বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করার ঘটনাটি এমন এক সময় ঘটল যখন ইসরাইল কারেম শালোম সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রেখেছে। এর ফলে টানা নবম দিনের মতো গাজায় জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধ বন্ধ রয়েছে যা মানবিক সঙ্কট আরও তীব্র করে তুলেছে।