রয়টার্স : পোল্যান্ডে ওয়ারশোর একটি শপিং সেন্টারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মস্কোর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপর ক্রাকোভে অবস্থিত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পোল্যান্ড। সেই সঙ্গে রাশিয়ার কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাওয়েল ভ্রনস্কি গত সোমবার বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতকে বিকেল ৩টার সময় মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়েছিল।’ রাশিয়া অবশ্য এই অগ্নিসংযোগ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পোল্যান্ডকে রাশিয়াবিদ্বেষে আক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই ওয়ারশো ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড বলেছে, ইউক্রেনের প্রতি সহায়তার একটি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করায় দেশটি রুশ নাশকতা, সাইবার হামলা ও ভুয়া তথ্য প্রচারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। গত রবিবার পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, পোল্যান্ড নিশ্চয়ভাবেই জানে যে, গত বছরের আগুন লাগার ঘটনার পেছনে রাশিয়ার গোপন সংস্থা জড়িত। পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোসল সিকোর্সকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘মারিউইলস্কা স্ট্রিটে অবস্থিত শপিং সেন্টারে রাশিয়ার বিশেষ সংস্থা নাশকতামূলক কাজ করেছে বলে যে প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে আমি ক্রাকোভে রাশিয়ান ফেডারেশনের কনস্যুলেট পরিচালনার অনুমোদন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সিকোর্সকি বলেন, শপিং সেন্টারে হামলার মতো আক্রমণ অব্যাহত থাকলে পোল্যান্ড আরও ব্যবস্থা নেবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ক্রাকোভ কনস্যুলেট তিনজন কূটনীতিক ও চারজন অন্যান্য কর্মচারী রয়েছেন। এটি বন্ধ করতে রাশিয়ার কাছে প্রায় ৩০ দিন সময় থাকবে। পোল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পোল্যান্ডে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে এটি আমাদের দেশের বিরুদ্ধে একটি সম্পূর্ণ রাশিয়াবিদ্বেষমূলক মনোভাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সমস্ত অভিযোগ সবসময়ই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।