বিবিসি , আল-জাজিরা : ভারতের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও নিজেদের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইছে পাকিস্তান। সেই লক্ষ্যে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করছে বলেই মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার রাশিদ ওয়ালি। গতকাল শুক্রবার আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের কয়েকটি জেলায় শুক্রবার আরও ৬টি ড্রোন গুলী করে নামিয়েছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তা ও মিলিটারি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম সামা টিভি জানিয়েছে, এ নিয়ে ভারতের ৭৭টি ড্রোন ধংস করেছে পাকিস্তান। যার মধ্যে রয়েছে ইসরাইল-নির্মিত ২৫টি ড্রোন।

সাক্ষাৎকারে ওয়ালি বলেন, ‘ভারতের মতো একটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র এতটা বেপরোয়া হতে পারে, এটা ভেবে পাকিস্তান হতবাক হয়েছে’। তিনি জানান, এ ক্ষেত্রে ইসলামাবাদের জবাব হবে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে কেন্দ্র করে’। এছাড়া গত ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তে সহযোগিতার প্রস্তাব দেয়ার পরও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘ভুয়া অভিযোগ’ তোলা হয়েছে বলেও দাবি করেন ব্রিগেডিয়ার রাশিদ ওয়ালি। পাকিস্তানের এই অবস্থান দেশটির প্রতিরক্ষা নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নির্দেশ করে। যেখানে কূটনৈতিক চাপ ও সামরিক উত্তেজনার মধ্যে পারমাণবিক সম্ভাবনার ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তানের পাইলটরা। যদিও পাকিস্তানের এমন দাবি স্বীকার করেনি ভারত। অবশ্য তারা অস্বীকারও করেনি। যা নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ও মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস রাফালসহ ভারতের কয়েকটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।