পাকিস্তানে সাংবাদিক সুরক্ষা বিল পাস
পাকিস্তানের সিনেট সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি সংশোধনী বিল অনুমোদন করেছে। এই বিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা বা জোরপূর্বক তথ্য উন্মোচনের চেষ্টা করলে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। সিনেটর সেলিম মান্দভিওয়ালা এই বিল উত্থাপন করেছেন। এই বিল অনুযায়ী, মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলতে তথ্য সম্প্রচার ও প্রকাশের অধিকারকে বোঝানো হয়েছে। নতুন আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো সাংবাদিকের ওপর সহিংসতা চালানো হয় বা তাকে তার তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করা হয়, তাহলে দোষী ব্যক্তিকে জেল ও আর্থিক জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে। দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার শাস্তি সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদ- এবং ৩ লাখ রুপি জরিমানা, তথ্যসূত্র প্রকাশে জোর করলে সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদ- এবং ১ লাখ রুপি জরিমানা। এই আইনের আওতায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি সাংবাদিক সুরক্ষা কমিশন গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এর নেতৃত্ব দেবেন একজন হাইকোর্টের বিচারক বা ১৫ বছরের মানবাধিকার ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট আইনি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি। এএফপি
বিহারে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ৭৩ লাখ ভোটারকে!
সামনেই বিধানসভার ভোট। তার আগে বিহারে খোঁজ মিলছে না প্রায় ৭৩ লাখ ভোটারের। আর এই ভোটারদের খুঁজতে গিয়ে নাজেহাল নির্বাচন কমিশনও। পয়লা আগস্ট একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। কিন্তু সেই তালিকায় সম্ভবত ঠাঁই পাবেন না বিহারের ৭৩ লাখ ভোটার। কোথায় গেল তারা? নাম কি বাদ দিয়ে দিল কমিশন? না। এই ৭৩ লাখ ভোটারের নাম নিজে থেকে বাদ দিতে মরিয়া হয়নি কমিশন। বরং এদের খোঁজ পাচ্ছে না তারা। বিহারের ২৬১টি নগর স্থানীয় সংস্থার ৫ হাজার ৬৮৩টি ওয়ার্ডে এই বিষয়ে বিশেষ শিবিরও স্থাপন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১.৫৯ শতাংশ ভোটারকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ২.২ শতাংশকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং ৪.৫৩ শতাংশ ভোটারকে তাদের ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে বিহারের মূল ১২টি রাজনৈতিক দলকে ২৯ লাখ ভোটারের একটি তালিকা পাঠিয়েছে কমিশন। বিবিসি
অবসরে ভারতের মিগ-২১ যুদ্ধবিমান
ভারতীয় বিমান বাহিনীর ইতিহাসের অন্যতম পুরোনো যুদ্ধবিমান মিগ-২১ এবার স্থায়ীভাবে অবসরে যাচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে যুদ্ধবিমানের এই বহরকে অবসরে পাঠাচ্ছে দেশটি। পুরোনো এসব যুদ্ধবিমান ৬২ বছর ধরে ব্যবহার করেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে চ-ীগড়ের একটি বিমানঘাঁটিতে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মিগ-২১ বিসন যুদ্ধবিমানের পরিষেবা শেষ করা হবে বলে ভারতের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। মিগ-২১ বিমানের জায়গায় ধাপে ধাপে আনা হবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা যুদ্ধবিমান তেজস এমকে১এ। ইতোমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে ২৩ নম্বর স্কোয়াড্রন বা ‘প্যান্থারস’ ইউনিটের অধীনে রয়েছে মিগ-২১ বিসন বিমান। এই যুদ্ধবিমান ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ, ১৯৯৯ সালের কারগিল সংঘাত, ২০১৯ সালের বালাকোট ‘বিমান হামলা’ ও সাম্প্রতিক অপারেশন সিন্দুরের মতো ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সামরিক অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে ২০১৯ সালের বালাকোট বিমান হামলা ও পরবর্তী ডগফাইটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর তৎকালীন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান একটি মিগ-২১ বিসন চালিয়ে পাকিস্তানের মোকাবিলা করেন। যদিও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তার বিমান ভূপাতিত করে এবং তিনি পাকিস্তানে আটক হন। পরে তাকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। মিগ-২১ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি একটি সুপারসনিক যুদ্ধবিমান। এটি ১৯৬৩ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়। কয়েক দশক ধরে এটি ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষার মূল ভরসা ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়ায় সম্প্রতি কয়েকটি দুর্ঘটনার পর এর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দ্য হিন্দু
ইতিহাসে প্রথম বরখাস্ত হচ্ছেন শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান
বরখাস্ত হচ্ছেন শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান। দেশটির সংসদের স্পিকার এ কথা জানিয়েছেন। জানা গেছে, অভিশংসন শুনানিতে একটি অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ইন্সপেক্টর-জেনারেল দেশবান্দু টেন্নাকুন হবেন শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে প্রথম অভিশংসিত পুলিশ প্রধান। স্পিকার জগৎ বিক্রমারতেœ বলেন, সংসদ কর্তৃক নিযুক্ত তিন সদস্যের একটি কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে টেন্নাকুনকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি আমাদের সাংবিধানিক যাত্রার একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই ধরনের একটি কমিটি একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশকে অপসারণের সুপারিশ করে তাদের অনুসন্ধান জমা দিয়েছে।” ২২৫ সদস্যের সংসদে অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকের সরকার দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে যে, তিনি হেফাজতে থাকা একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির যৌনাঙ্গে নির্যাতন করেছিলেন, তা সত্ত্বেও ২০২৩ সালের নভেম্বরে টেন্নাকুনকে পুলিশ প্রধান নিযুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে একটি দুর্ভাগ্যজনক অভিযানের অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে, যা উপকূলীয় রিসোর্ট শহর ওয়েলিগামায় প্রতিদ্বন্দ্বী পুলিশ ইউনিটগুলোর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের সূত্রপাত করে এবং একজন অফিসারের মৃত্যু ঘটায়। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ আদালত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে তাকে বরখাস্ত করে। একজন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এই বছর আদালতকে জানিয়েছেন যে, টেন্নাকুন ‘একটি অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের প্রধান’ ছিলেন। দ্য স্টার