দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন : ভারতের ‘সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ ক্যাম্প’ সংক্রান্ত অপপ্রচারের জবাবে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) ঘেঁষা বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের জন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার ও সোমবার এই দুই দিন ধরে এলওসি এলাকা পরিদর্শনে যাবে বিদেশী সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারত যে দাবি করছে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীর অংশে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর প্রশিক্ষণ ক্যাম্প রয়েছে এই মিথ্যা প্রচারণা ভেঙে দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিদর্শনের সময় সীমান্তের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের ব্রিফ করা হবে, যাতে ভারতের ভুয়া দাবির অসারতা স্পষ্ট হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পাকিস্তান শান্তির পক্ষে এবং সন্ত্রাসবাদ বা সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে। তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানি জাতি তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ব্রিফ করবেন কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এবং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ। ব্রিফিংয়ে পাকিস্তান-ভারত সম্ভাব্য সশস্ত্র সংঘাত ও তার পরিণতি, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি, উত্তেজনা প্রশমনকে কেন্দ্র করে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় অবস্থানের বিষয়ে অবহিত করা হবে অংশগ্রহণকারীদের।

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল ভারতীয় অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার কিছু ঘণ্টার মধ্যেই ভারত দায় চাপায় পাকিস্তানের ওপর। এরপর থেকেই নয়াদিল্লি যুদ্ধোন্মাদনা ছড়াতে থাকে। পাকিস্তানের কিছু কর্মকর্তার আশঙ্কা, ভারত কয়েক দিনের মধ্যে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালাতে পারে।