ডন, এএফপি : পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তাঁর বিদেশে থাকা দুই ছেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ দিতে আদিয়ালা কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গত বুধবার ইসলামাবাদের একটি বিশেষ আদালত আদিয়ালা কারা কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন। গত মাসে ইসলামাবাদের বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ কারাবন্দী ইমরান খানের পক্ষে করা দুটি আবেদন অনুমোদন করেন। এসব আবেদনে বিদেশে অবস্থানরত ছেলেদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার ও ব্যক্তিগত চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আদালত তখন এ সুবিধাগুলো দেওয়ার বিষয়ে আদিয়ালা কারা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়েছিল। গতকাল এ আবেদনের বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়। পরে আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেন।

আদালতের দেওয়া তিনটি আদেশ কঠোরভাবে মেনে চলতে কারা তত্ত্বাবধায়ককে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়েছে। আদালতের আদেশের ঠিক এক দিন আগে ইমরান খানের দুই ছেলে ২৮ বছর বয়সী সুলেমান খান ও ২৬ বছর বয়সী কাসিম খান জনসমক্ষে উপস্থিত হন। তাঁরা তাঁদের বাবার কারাবন্দিত্বের বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সুলেমান ও কাসিম বাবার মুক্তির দাবি জানান। তাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের সীমিত সময়ের জন্য বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া যে সময়ে কথা বলতে দেওয়া হয়, সেটি উপযোগী সময় নয়। একবার ফোনকল মিস করলেই আবার কথা বলার জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়। বাবার সঙ্গে দুই বা তিন মাস অন্তর একবার কথা বলার সুযোগ হয় বলে দাবি করেন তাঁরা। ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে কারাবন্দী আছেন। বর্তমানে তিনি ১৯ কোটি পাউন্ড দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে আদিয়ালা কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। এ ছাড়া ২০২৩ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন।