২৯ মার্চ, বিবিসি : প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ধাক্কা লেগেছে থাইল্যান্ডেও। দেশটির রাজধানী ব্যাংককসহ উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন শহর-গ্রামে প্রাণহানি এবং বেশ ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজধানী শহর ব্যাংককে। শহরজুড়ে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে। এর মধ্যে জনপ্রিয় বাণিজ্যিক এলাকা চাতুচাকের একটি নির্মাণাধীন ৩০ তলা ভবন ধসের ঘটনাটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ভূমিকম্পের কয়েক মিনিটের মধ্যে ভবনটি পুরোপুরি ধসে পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুবাদে সেই ধসে পড়ার চিত্র ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছে।

থাইল্যান্ডের দুর্যোগ মোকাবেলা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চাতুচাকের সেই ভবনটির ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন ৪৭ জন কর্মী। তাদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনের এখনও জীবিত থাকার আলামত পেয়েছেন উদ্ধারকারী বাহিনীর কর্মীরা।

গতকাল শুক্রবার থেকেই চাতুচাকের ওই নির্মাণাধীন ভবনসহ অন্যান্য ভবনের ধ্বংস্তূপে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। আজ চলছে দ্বিতীয় দিনের তৎপরতা। তবে চাতুচাকের ওই ভবনটির ধ্বংস্তূপ থেকে জীবিতদের বের করে আনা বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি ব্যাপার। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন ভারী কংক্রিটের পিলার-চাঁই, ইস্পাতের খ- সরানোর কাজটি সময়সাপেক্ষ।

জঞ্জাল সরাতে অবশ্য গত শুক্রবার থেকেই ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা শুরু করেছে উদ্ধারকারী বাহিনী। ব্যাংককের গভর্নর চাদচার্ত সিত্তিপুন্ত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চাতুচাকের ধ্বংস হয়ে যাওয়া সেই ভবন এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “জীবতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে হলে আমাদের উদ্ধার তৎপরতাকে বহুমুখী করে তুলতে হবে। আর এটা তখনই সম্ভব হবে যখন সব ধরনের রিসোর্স আমাদের সামনে উপস্থিত থাকবে।”

থাইল্যান্ডের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের মহাপরিচালক সুরিয়াচাই রাউয়িওয়ান জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী বাহিনীর কর্মীরা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

“এখন যারা জীবিত আছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের উদ্ধার করা জরুরি।