জাপানে ফসল নিয়ে উদ্বেগ
জাপানে নজিরবিহীন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গত মঙ্গলবার জাপানের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, কৃষকরা তাদের ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এই চরম গরম তাদের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গত সপ্তাহে পশ্চিমাঞ্চলীয় হিয়োগো প্রদেশের তাম্বা শহরের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এবার পূর্বাঞ্চলীয় গানমা প্রদেশের ইসেসাকি শহরের তাপমাত্রা আগের রেকর্ড হওয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রাকে অতিক্রম করেছে।ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী,চলতি গ্রীষ্মে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।এই অস্বাভাবিক গরমে বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি কমানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে সরকারকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।জুলাই মাসে টানা তৃতীয় বছরের মতো রেকর্ড গড়ার পর জাপানজুড়ে গড় তাপমাত্রা আরও বেড়েছে। রয়টার্স
চীনজুড়ে চিকগুনিয়ার প্রকোপ
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রদেশজুড়ে ৭ হাজারের বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এর জেরে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯ মহামারির সময়ের মতো কঠোর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা গুয়াংডংয়ের ফোশান শহরে। সেখানে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালেই ভর্তি রাখা হচ্ছে এবং তাদের শয্যা মশারির ভেতরে রাখা বাধ্যতামূলক। রোগীরা এক সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করলে কিংবা ভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল এলে তবেই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র মিলছে।চিকুনগুনিয়া মূলত মশার কামড়ে ছড়ায় এবং এই ভাইরাসে জ্বর ও তীব্র গাঁটে ব্যথা দেখা যায়, যা কখনো কখনো বছরের পর বছর স্থায়ী হতে পারে। চীনে এই রোগ এখনও তুলনামূলকভাবে বিরল হলেও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু অংশে এটি পরিচিত একটি রোগ।ফোশান ছাড়াও গুয়াংডং প্রদেশের আরও অন্তত ১২টি শহরে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শুধু গত সপ্তাহেই প্রায় ৩ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। হংকংয়েও ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছেÍফোশান সফর করে ফেরা ১২ বছর বয়সী এক ছেলের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।চিকুনগুনিয়া ছোঁয়াচে নয়। বিবিসি
আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেলো গ্রাম
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল ধারালি ও তার আশপাশের গ্রামগুলোতে মঙ্গলবার ভোররাতে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে ভয়াবহ ফ্ল্যাশ ফ্লাড বা আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। প্রবল পানির তোড়ে বহু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে এবং অন্তত ৫০ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। পিটিআই গ্রামবাসীদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বহু বাড়িঘর তো বটেই, গ্রামে থাকা অন্তত ২০-২৫টি হোটেল এবং হোমস্টে ভেসে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে অন্তত ১০-১২ জন আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের নিকটবর্তী ক্ষীরগঙ্গা নদীর উচ্চ অববাহিকায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। তার পরেই উঁচু থেকে দু’কূল ছাপিয়ে গ্রামের দিকে নামতে শুরু করে ফুঁসতে থাকে ওই নদী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উঁচু পাহাড় থেকে নীচে থাকা গ্রামে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ছে নদীর পানি। তার পর সব কিছু ভাসিয়ে আরও নীচের দিকে নামছে সেই পানি। ইতিমধ্যেই এই দুর্যোগে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না প্রায় ৫০ জনের। এনডিটিভি।