এশিয়া
পার্লামেন্ট ছাড়ার ব্যতিক্রমী ভঙ্গিতে জাস্ট্রিন ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার পর জাস্টিন ট্রুডোর পার্লামেন্ট ছাড়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, ট্রুডো এক হাতে চেয়ার ধরে আছেন এবং জিহ্বা বের করে আছেন, যা অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত লেগেছে।
Printed Edition

১১ মার্চ, এনডিটিভি : কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার পর জাস্টিন ট্রুডোর পার্লামেন্ট ছাড়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, ট্রুডো এক হাতে চেয়ার ধরে আছেন এবং জিহ্বা বের করে আছেন, যা অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত লেগেছে। কানাডার প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্ট ছাড়ার সময় তাদের আসন নেওয়ার অনুমতি পান। টরন্টো সানের রাজনৈতিক কলাম লেখক ব্রায়ান লিলি এক্স-এ লিখেছেন, যে কোনও সংসদ সদস্য কমন্স ত্যাগ করার সময় তার আসন সঙ্গে নিতে পারেন। এটি চমৎকার একটি ঐতিহ্য, তবে ট্রুডোর এই ছবি কিছুটা অদ্ভুত। এ ছাড়া এটি আসন্ন নির্বাচনের আরেকটি ইঙ্গিত হতে পারে।
ট্রুডো পদত্যাগের সময় লিবারেল পার্টির ‘সাফল্য’ তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা নিয়ে কথা বলেন। কানাডার ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (সিবিসি) জানায়, লিবারেল লিডারশিপ কনভেনশনে দেওয়া বক্তৃতায় ট্রুডো বলেন, গত ১০ বছরে মধ্যবিত্ত ও কঠোর পরিশ্রমী মানুষের জন্য আমরা যা করেছি, তা নিয়ে আমি গর্বিত। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো কানাডাকে বিশ্বের সেরা দেশ হিসেবে রাখা।
পদত্যাগের আগে লিবারেল সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রুডো আহ্বান জানান, তারা যেন কানাডার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যায়। জাস্টিন ট্রুডো চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতা পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার সরকারের অধীনে আবাসন সংকট ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ে অসন্তোষের পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
রবিবার মার্ক কার্নি লিবারেল পার্টির নতুন নেতা নির্বাচিত হন এবং আসন্ন নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য দ্বন্দ্ব মোকাবিলার চ্যালেঞ্জের মধ্যেই কানাডার ভবিষ্যৎ পথচলার দায়িত্ব নিলেন কার্নি। এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে কার্নি বলেন, ধন্যবাদ। আসুন, একসঙ্গে শক্তিশালী কানাডা গড়ে তুলি। তিনি আরও লিখেছেন, আমরা তখনই সবচেয়ে শক্তিশালী থাকি, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি।