রয়টার্স : ইসরাইলি পণবন্দীদের মুক্তির প্রক্রিয়ায় হামাস সদস্যদের সশস্ত্র উপস্থিতি দেখা গেছে। চলমান প্রক্রিয়াকে হামাস শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল সোমবার ধারণকৃত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে একটি হাসপাতালের সামনে হামাসের কয়েক ডজন সশস্ত্র সদস্য সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে একজনের ইউনিফর্মে দলটির সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের চিহ্ন দেখা গেছে। তার শোল্ডার প্যাচ (সশস্ত্র গোষ্ঠীর ইউনিফর্মে কাঁধে থাকা পরিচয় চিহ্ন) থেকে তাকে ‘শ্যাডো ইউনিট’–এর সদস্য হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। হামাসের তথ্য অনুযায়ী, এই বিশেষ ইউনিট পণবন্দীদের পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রেড ক্রসের মাধ্যমে গাজা থেকে সাত জন জীবিত পণবন্দীকে ফেরত পেয়েছে তারা। স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টায় প্রথম ধাপে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে ১৩ ইসরাইলি পণবন্দীকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আরও ২৬ জনের মৃতদেহ এবং দুইজনের অজানা পরিণতির ব্যাপারে সোমবারের মধ্যেই দফারফার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে ইসরাইলে থাকা প্রায় দু হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ও দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেও মুক্তি দেওয়ার কথা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালায় হামাস। ইসরাইল সরকারের দাবি, হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে পণবন্দী করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় পূর্ণ সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

হামাসের জিম্মায় গাজায় কেবল ২০ জন পণবন্দী বেঁচে আছেন বলে ধারণা করা হয়। গাজা যুদ্ধের অবসানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত পরিকল্পনার প্রথম ধাপে ছিল, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে জীবিত পণবন্দী ও মৃতদের মরদেহ ফেরত দেওয়া। শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে রয়েছে গাজায় হামাসের শাসনের অবসান ও তাদের নিরস্ত্রীকরণ। ২০০৭ সালে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে উৎখাত করার পর থেকে ওই অঞ্চল শাসন করে আসছে হামাস।