১৯ মার্চ, রয়টার্স : কঙ্গোতে যুদ্ধবিরতির জন্য রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সঙ্গে আলোচনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স তিশিসেকেদি। গত জানুয়ারি মাসে এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠী কঙ্গোতে জোরদার হামলা শুরু করার পর গত মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
দোহায় আয়োজিত বৈঠকের পর প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে শর্তবিহীন যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে। তবে এম২৩ গোষ্ঠীকে কীভাবে থামানো হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
পূর্ব কঙ্গোর বৃহত্তম দুটো শহরসহ যেকোনও সময়ের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানের আছে দলটি। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘস্থায়ী শান্তির ভিত্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন দুই দেশের নেতা। বৈঠক সম্পর্কে অবগত এক কূটনীতিবিদ জানিয়েছেন, কঙ্গো ও রুয়ান্ডার মধ্যে আসলে অনানুষ্ঠানিক একটি বৈঠক হয়েছে। চলমান কোনও প্রচেষ্টার বিকল্প তৈরির চেষ্টা এখানে করা হয়নি।
বিদ্রোহীদের হামলা নিয়ে কঙ্গো ও রুয়ান্ডা পালটাপালটি অভিযোগ করে আসছে। কঙ্গোর অভিযোগ, বিদ্রোহীদের সমর্থন দেওয়ার জন্য অস্ত্র ও সেনা পাঠিয়েছে রুয়ান্ডা। তাদের হামলাতে দেশটি গত কয়েক দশকের মধ্যে গভীরতম সংকটে পড়েছে। এদিকে, তাদের অভিযোগ অস্বীকার করে রুয়ান্ডা বলেছে, কঙ্গোর সেনাবাহিনী থেকে আত্মরক্ষার জন্য কেবল চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। সংঘাতের শুরু থেকে যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলো।
মঙ্গলবার অ্যাঙ্গোলায় কঙ্গো সরকার ও এম২৩ নেতাদের মধ্যে আলোচনার পরিকল্পনা থাকলেও, বিদ্রোহীরা শেষ মুহূর্তে তাতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
উল্লেখ্য, কঙ্গোতে সহিংসতার মূল খুঁজতে পিছিয়ে যেতে হবে প্রায় ৩০ বছর। ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডা গণহত্যা এবং কঙ্গোর সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদে দখলের আশায় তিন দশক ধরেই ওই অঞ্চলে অস্থিরতা বিরাজমান। তবে চলতি বছর জানুয়ারিতে এই সহিংসতা আকস্মিকভাবে মারাত্মক আকার ধারণ করে, যখন সশস্ত্র দলের হামলায় সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে হাজার হাজার মানুষের খুন, ধর্ষণ, বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটে।