উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বড় নিষেধাজ্ঞা
উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যকার অস্ত্র বাণিজ্য নেটওয়ার্ক, এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্কিত দুই দেশের দুই সরকারি কোম্পানি এবং দুই কোম্পানির মোট পাঁচজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতি অনুযায়ী, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অস্ত্র বাণিজ্যের পুরো প্রক্রিয়াটি চলে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল শুন লেই কোম্পানি লিমিটেড এবং কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোরিয়া মাইনিং ডেভেলপমেন্ট ট্রেডিং কর্পোরেশন (কোমিড)-এই দুই কোম্পানির মধ্যে।বিবৃতি অনুসারে, রয়্যাল শুন লেই কোম্পানি লিমিটেড, সেটির পরিচালক অউং কো কো উ , দুই শীর্ষ কর্মকর্তা কিয়াও থু মিয়ো মিন্ত ও তিন মিও অউং এবং কোমিডের উপপরিচালক কিম ইয়ং জু ও কর্মকর্তা ন্যাম চোল উং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রয়টার্স
তীব্র বিক্ষোভের মুখে পূর্ব তিমুরে আজীবন পেনশন বাতিল
বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিক্ষোভের পর পূর্ব তিমুরে সংসদ সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আজীবন পেনশন আইন বাতিল করা হয়েছে।২০০৬ সালে পাস হওয়া একটি আইনের অধীনে সাবেক এমপি এবং কিছু সরকারি কর্মকর্তা তাদের বেতনের সমতুল্য পেনশন পেতেন।কিন্তু শুক্রবার সংসদের ৬২ জন সদস্য সর্বসম্মতিক্রমে একটি নতুন আইন পাসের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, যা সংসদ সদস্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের আজীবন পেনশন বাতিল করে দেন।ভোটের পর খুন্তো দলের এমপি ওলিন্ডা গুতেরেস বলেছেন, ‘সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনাদের দাবি পূরণ করা হয়েছে। দয়া করে এবার বিক্ষোভ বন্ধ করুন’।গত সপ্তাহে আজীবন পেনশন সুবিধা বাতিলের দাবিতে রাজধানী দিলিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সংসদের আইন প্রণেতাদের জন্য ৪২ লাখ মার্কিন ডলারের এসইউভি কেনার পরিকল্পনা বাতিলের দাবি জানায়।পরবর্তীতে বিক্ষোভ আরো বিস্তৃত হয়ে সাবেক এমপি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের আজীবন পেনশনসহ অন্যান্য বিষয়গুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। এএফপি।
ইকুয়েডরে কারাগারে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত
ইকুয়েডরের উপকূলীয় শহর এসমেরালদাসে একটি কারাগারে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। দেশটির জাতীয় পুলিশ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, সংগঠিত অপরাধীগোষ্ঠী ‘লস টিগুয়েরোনেস’-এর নির্দেশে ‘লস লোবোস’, ‘লস চোনেরোস’ এবং টিগুয়েরোনেস গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কয়েকজন বন্দিকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর কারাগারের কেন্দ্রীয় অংশে নিরাপত্তা অভিযান চালানো হয়। তবে উদ্ধার অভিযান চলমান থাকায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্নেল উইলিয়াম ফাবিয়ান কাল্লে জানান, মাচালা কারাগারের দুটি সেল ব্লক একটি অপরাধীগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেখান থেকেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। প্রশ্ন থেকে যায়, বন্দিদের কিভাবে অন্য সেলে স্থানান্তর করা হলো, যেখানে একাধিক নিরাপত্তা স্তর থাকার কথা।একদল বন্দি হামলার মাধ্যমে কারাগারের চাবি ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা বাইরের কক্ষে থাকা অন্য বন্দিদের ওপর হামলা চালায়। ইকুয়েডরের জাতীয় কারা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।এদিকে ঘটনার তিন দিন আগে দেশটির এল ওরো প্রদেশের মাচালা কারাগারে আরেকটি হামলায় ১৪ জন বন্দি নিহত হয়। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন কারারক্ষীও নিহত হন। সিএনএন
উত্তর কোরিয়ার নৌযান প্রবেশে সতর্কীকরণ গুলী দক্ষিণ কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়ার একটি নৌযান দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমায় প্রবেশ করলে দেশটির সেনাবাহিনী সতর্কীকরণ গুলি চালিয়েছে। ফলে জাহাজটি পিছু হটতে বাধ্য হয়। দক্ষিণ কোরিয়া শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্যিক নৌযান জাহাজটি বেংনিয়ং দ্বীপসংলগ্ন এলাকায় উত্তর সীমান্তরেখা (এনএলএল) অতিক্রম করে ঢুকে পড়ে।জেসিএস এক বিবৃতিতে জানায়, আমাদের বাহিনী সতর্কবার্তা সম্প্রচার করেছে এবং সতর্কতামূলক গুলি ছুঁড়েছে। তারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং উত্তর কোরিয়ার গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। যদিও উত্তর কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এনএলএল- কে স্বীকৃতি দেয় না। ওই এলাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার লাইভ-ফায়ার মহড়ার দু’দিন পর এই ঘটনাটি ঘটল। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের অবসান হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে, পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তির মাধ্যমে নয়। ফলে এখনও দুই কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে।