এশিয়া
ভারতে পর্যটন কেন্দ্রের কাছে ২ নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের কাছে দুই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে স্থানীয় তিন অপরাধী। গত শনিবার স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের সঙ্গে থাকা এক পুরুষ সঙ্গীকে হত্যা করে।
Printed Edition
৯ মার্চ, রয়টার্স , এপি : ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের কাছে দুই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে স্থানীয় তিন অপরাধী। গত শনিবার স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের সঙ্গে থাকা এক পুরুষ সঙ্গীকে হত্যা করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় পুলিশের সুপারিন্টেনডেন্ট রাম আরাসিদ্দি ফোনে বলেছেন, ওই দুই নারীর একজন স্থানীয় আর একজন ইসরাইল পর্যটক। তাদের সঙ্গে ছিলেন এক ভারতীয় ব্যক্তি এবং আরও দুই পুরুষ পর্যটক। তারা পর্যটন কেন্দ্রের কাছে নক্ষত্র দেখছিলেন। এসময় ভারতীয় পুরুষটির সঙ্গে দেনা-পাওনা সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় তিন ব্যক্তি হামলা চালায়।
পুলিশ আরও জানায়, হামলাকারীরা ভারতীয় ব্যক্তিকে হত্যা করে এবং তিনজন পুরুষকেই পানিতে ফেলে দেয়। এরপর তারা নারী পর্যটকদের ধর্ষণ করে। পানিতে ফেলে দেওয়া তিনজনের মধ্যে এক মার্কিন পর্যটক বেঁচে গেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আরাসিদ্দি বলেছেন, অভিযোগে ভিত্তিতে ইতোমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত এখনও চলমান আছে। ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্ষণের মতো অপরাধ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর কলকাতার এক হাসপাতালে দায়িত্বরত নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পুরো দেশজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০২২ সালে প্রায় ৩২ হাজার ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। সংখ্যাটি ২০২১ সালের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। তবে সংশ্লিষ্টদের ধারণা, সামাজিক অপসংস্কার ও পুলিশের দিক থেকে নিভর্রতার জায়গা তৈরি করতে না পারায়, অধিকাংশ ভুক্তভোগী সামনে আসেন না।
২০১২ সালে দিল্লীর গণপরিবহনে এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রথম উত্তাল হয়ে পড়ে ভারত। সেই বর্বর হামলা দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দেয়। আইনপ্রণেতারা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের পাশাপাশি ধর্ষণের শাস্তি কঠোর করতে বাধ্য হন। ২০১৩ সালে ধর্ষণের আইন সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে কোনও নারীকে অনুসরণ ও গোপন নজরদারিকেও অপরাধের যৌন হয়রানিমূলক অপরাধের তালিকায় রাখা হয়। এছাড়া, যৌন অপরাধে আদালতে ওঠানোর বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা হয়। ২০১৮ সালের সংশোধনীতে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়। তবে, আইন কানুনের কঠোরতা সত্ত্বেও নারীদের ওপর বর্বরতা হ্রাসের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিদেশি পর্যটকদের ধর্ষণের ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এলে তখন যেন সবার টনক নড়ে।