এশিয়া
দায়িত্ব নিয়েই হামাসকে যে বার্তা দিলেন ইসরাইলের সামরিকপ্রধান
ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর নতুন প্রধান এয়াল জামির দায়িত্ব নেওয়ার সময় বলেছেন, হামাসকে পরাজিত করার দেশটির মিশন এখনো সম্পন্ন হয়নি। অন্যদিকে গাজার নাজুক যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে।
Printed Edition

৬ মার্চ, এএফপি: ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর নতুন প্রধান এয়াল জামির দায়িত্ব নেওয়ার সময় বলেছেন, হামাসকে পরাজিত করার দেশটির মিশন এখনো সম্পন্ন হয়নি। অন্যদিকে গাজার নাজুক যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে।
এ ছাড়া তেল আবিবে গত বুধবার সামরিক সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে জামিরের আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া বহুমুখী যুদ্ধে ইসরায়েল জয়ী হতে ‘দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’। এ বক্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন আরব নেতারা গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনের পরিকল্পনাকে অনুমোদন দিয়েছেন, যা ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসনের অধীনে পরিচালিত হবে। এ পরিকল্পনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপকভাবে নিন্দিত প্রস্তাবের বিকল্প হিসেবে আসছে, যেখানে গাজাকে দখল করে এর জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসন প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত। কারণ ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করা হামাসের জন্য কোনো ভবিষ্যৎ ভূমিকাকে ইসরায়েল পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছে। ৫৯ বছর বয়সী সাবেক ট্যাংক কমান্ডার জামির বলেন, ‘হামাস নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা খেয়েছে, কিন্তু তারা এখনো পরাজিত হয়নি। মিশন এখনো শেষ হয়নি।’ তিনি এ কথা বলেন, যখন গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
জামির সদ্যোবিদায়ি সামরিক প্রধান হারজি হালেভির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন, যিনি ৭ অক্টোবরের ঘটনার সময় ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর ব্যর্থতার দায় নিয়ে জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরে তার বাহিনী একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করে, যেখানে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর দেশটিতে চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা প্রতিরোধে ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থতা’ স্বীকার করা হয়।উভয় পক্ষের তথ্য অনুযায়ী, হামাসের হামলায় এই হাজার ২১৮ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক প্রতিশোধে গাজায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৮ হাজার ৪০৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক। এদিকে গাজার যুদ্ধ পুরো ভূখণ্ডকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এবং চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। আরব লীগের এক সম্মেলনে মঙ্গলবার গাজা পুনর্গঠনের জন্য একটি ‘সামগ্রিক’ পরিকল্পনা গৃহীত হয়, যা একটি তহবিলের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করা হয়েছে। এএফপির হাতে থাকা পরিকল্পনার একটি খসড়ায় পাঁচ বছরের জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলারের বাজেটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা গাজার পুনর্গঠনে জাতিসংঘের আনুমানিক ব্যয়ের সমান। তবে চূড়ান্ত ঘোষণায় এই পরিমাণটি উল্লেখ করা হয়নি।