এনডিটিভি , জিও নিউজ : পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালো পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, ভারতকে প্রতিহত করতে পাকিস্তানের প্রচলিত ক্ষমতাই যথেষ্ট। এজন্য ভারতের স্ব-আরোপিত ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের’ কোনো প্রয়োজন নেই। গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব জানায় ইসলামাবাদ। এর আগে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মন্তব্য করেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার জাতিসংঘের পারমাণবিক সংস্থার নজরদারিতে আনা উচিত। এছাড়া পাকিস্তানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র নিরাপদ কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। রাজনাথের এমন মন্তব্যের পর এই প্রতিক্রিয়া জানালো পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র শাফকাত আলী খান এক বিবৃতিতে বলেন, এই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রচলিত উপায়ে পাকিস্তানের কার্যকর প্রতিরক্ষা এবং প্রতিরোধের বিষয়ে তার গভীর নিরাপত্তাহীনতা এবং হতাশা প্রকাশ পায়। বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূত শাফকাত আরও বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এর মন্তব্য আইএইএ-র মতো জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থার ম্যান্ডেট এবং দায়িত্ব সম্পর্কে তার অজ্ঞতাও প্রকাশ করে।
এদিকে চির বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান তাদের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়িয়েছে। আগামী ১৮ মে পর্যন্ত পরস্পরের ভূখণ্ডে হামলা থেকে বিরত থাকবে দুই দেশের সামরিক বাহিনী। গতকাল শুক্রবার সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যম। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের ডিজিএমও (ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনস) শিগগিরই আলোচনায় বসবেন। বৈঠকে উভয় দেশের ডিজিএমও সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন।
গত বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে ভাষণ দেওয়ার সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার জানান, গত ১৪ মে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর অপারেশন্স বিভাগের প্রধান (ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স-ডিজিএমও) পর্যায়ের বৈঠকে গৃহীত হয়েছে এ সিদ্ধান্ত। এর আগে গত ১০ মে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ভারত ও পাকিস্তান ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগে গত ১০ মে প্রথমবারের মতো বৈঠক করেন ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই এবং পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল কাশিফ আবদুল্লাহ। টেলিফোনে হওয়া সেই সেই বৈঠক শেসে ১২ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন তারা। পরে আরও দু’দফা দু’দিন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গতকাল দুই দেশের ডিজিএমও পর্যায়ে বৈঠকে যুদ্ধবিরতি ১৮ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।